কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar medical colleage) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সেকেন্ড ইয়ারের ট্রেনি মহিলা ডাক্তারের রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুয়া ওই মহিলা চিকিৎসক বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নাইট ডিউটি করছিলেন। রাত ১২টার পর বন্ধুদের সঙ্গে ডিনারও করেন তিনি। তারপর থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ চারতলার সেমিনার হল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। তার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাকি ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে। কর্তব্যরত অবস্থার মধ্যে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এমার্জেন্সি বিভাগের চারতলায় থাকা সেমিনার হল থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি কর হাসপাতালের ওই অংশে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তারপরও এই ধরনের ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে এই খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তও শুরু করেছেন ফরেন্সিক দলের ৬ জনের সদস্য।


আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের কর্মীরা চারতলার সেমিনার হলে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সেমিনার হল থেকে সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া গেছে তাঁর দেহ। সহকর্মী ও চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, মৃত ওই ট্রেনি চিকিৎসকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর দেহে পোশাকও ছিল না বলেও সূত্রের খবর। এটা আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি ওই সেমিনার হলে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা কেন ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে অপরিচিত ব্যক্তিরা যখন তখন হাসপাতালে কীভাবে ঢুকে পড়ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে ওই চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহটির ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হতে পারে বলেও জানা গেছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রায় প্রত্যেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না তারা। 


স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, "অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।‌ আইন আইনের পথে চলবে। সত্য প্রকাশ্যে আসুক তা আমরাও চাই।" 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


কবে শান্তি ফিরবে ওপার বাংলায় ? অশান্ত দিনে ইউনূসকে বিশেষ বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের