প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির অভিযানে যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (partha chatterjee)। ইডি-র কাছে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি (explosive confession) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (arpita mukherjee), বলছে সূত্র। সঙ্গে একগুচ্ছ দাবি তাঁর। কী কী বলেছেন তিনি? 


কী দাবি অর্পিতার? 
‘টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ায় উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের’, ইডি-র জেরায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি অর্পিতার, বলছে সূত্র। সঙ্গে বলেছেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা এসে ফ্ল্যাটে টাকা রেখে যেত।’ কিন্তু অদ্ভুতভাবে অর্পিতা জানিয়েছেন, টাকা রাখা হচ্ছে এ কথা তিনি জানলেও কত টাকা রাখা হচ্ছে সেটা জানা ছিল না। অর্থাৎ এত বিপুল অঙ্কের টাকা যে আসছে সেটা জানতেন না তিনি, এমনই দাবি অর্পিতার। এতেই শেষ নয়। তদন্তকারীদের কাছে তাঁর স্বীকারোক্তি, যে ঘরে টাকা থাকত, সেই ঘরে তাঁর ঢোকার অনুমতি ছিল না। বলেছেন,পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝে মাঝে ফ্ল্যাটে আসতেন। নির্দিষ্ট ঘরেও যেতেন। কিন্তু সেই সময় ওই ঘরে তিনি যেতেন না। সূত্রের খবর, অর্পিতাকে জেরা করেই বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। গত কয়েক দিনে শোনা যাচ্ছিল, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।


তদন্ত এখনও যে পর্যায়ে...
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে অর্পিতার  টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। সঙ্গে হদিস বিপুর পরিমাণ সোনা। মিলছে গুচ্ছ গুচ্ছ দলিল ও নথি। এই সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া টাকা-গয়নার কোনও সম্পর্ক আছে কি? অর্পিতাকে না জানিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে এই বিশাল অঙ্কের টাকা রাখা সম্ভব কি? সব কিছু না জেনে কেন-ই বা তিনি বিষয়টির অনুমতি দিয়েছিলেন? যত দিন এগোচ্ছে, তত বাড়ছে প্রশ্নের তালিকা। 


তবে আজ অর্পিতার যে স্বীকারোক্তির কথা শোনা গেল তা ইডি যে আদালতে ব্যবহার করবে, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। এর পর কী হবে? বলছে সময়। 


আরও পড়ুন:ওনাকে জানাতেই হবে, আর পালাতে পারবেন না: দিলীপ ঘোষ