বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির (Hanskhali) ঘটনায় বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট দিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। ‘নির্যাতিতা নাবালিকাকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়নি তো?’ নাড্ডাকে দেওয়া রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির।
নাড্ডাকে রিপোর্ট পেশ
‘পুলিশের ওপর আস্থা নেই বাংলার মানুষের। আশা করি সিবিআই তদন্তে সত্য সামনে আসবে। গত ৭ থেকে ১০ দিনে বাংলায় ৩০টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বাংলায় ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা চায় মানুষ। এরকম পরিবেশে বাংলায় চপ মুড়ি শিল্প ছাড়া আর কোনও শিল্প আসবে না’, নাড্ডাকে রিপোর্ট বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির।
হাঁসখালির ঘটনায় শোরগোল
নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘিরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। অভিযোগ উঠেছে হুমকি দেওয়ারও। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিল কারা? কাদের ভয়ে মেয়েকে হাসপাতাল বা থানায় নিয়ে যেতে পারেননি পরিবারের লোকজন? তারই উত্তরের খোঁজ শুরু করেছ সিবিআই। সোমবার তিন গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে নাবালিকার বাবা-মায়ের সামনাসামনি বসিয়ে ওই তিনজনকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নির্যাতিতার বাবা-মা একাধিকবার দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তাঁদের মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা ও দুই যুবক। সেই সঙ্গে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা সেদিন নাবালিকাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন, তাঁদের তিনজনকেই এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া সেই মহিলা ও এক যুবক ইতিমধ্যেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন হাঁসখালির ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির আবেদন
অন্যদিকে, রবিবার বিস্ফোরক দাবি করেন অভিযোগপত্রে নাম থাকা এক প্রতিবেশীও। তাঁর দাবি, ‘রাত ১০টা নাগাদ মাঠ থেকে ফিরছিলাম। দেখি ৩-৪ জন ছেলে দাঁড়িয়ে। জিজ্ঞেস করলে হুমকি দেয়। কারা? দেখতে পায়নি। মুখ ঢাকা ছিল।’
তাহলে হুমকির নেপথ্যে কি ওই মুখ ঢাকা যুবকরা? তাদের পরিচয় কী? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে। তারই উত্তরের খোঁজে গোয়েন্দারা।