মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: চুরি (theft) করতে এসে নগদ টাকা না পেয়ে মিষ্টির দোকানে (sweet shop) তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা (miscreants)। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের (west burdwann) পাণ্ডবেশ্বর (Pandaveswar) থানার স্টেশন রোডে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ পালানোর সময় রাগের চোটে ডিটারজেন্ট ছিটিয়ে সব মিষ্টি নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।


কী হয়েছে?


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। মিষ্টির দোকানের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন এক পুলিশ আধিকারিক। কী হয়েছিল ওই দোকানে?
মালিক জয়ন্ত লাহার দাবি, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। চার দিক লন্ডভন্ড, ভিতরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর পরই নজরে আসে মোক্ষম বিষয়। দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার, তেলের টিন-সহ বেশ কিছু জিনিস উধাও, টের পান জয়ন্ত। সঙ্গে দেখেন, প্রায় ১০ হাজার টাকার মিষ্টি নষ্ট করা হয়েছে। সব কটির উপরই ডিটারজেন্ট ছড়ানো। 


রাগের চোটে তছনছ...


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, মঙ্গলবার রাতে মিষ্টির দোকানে হানা দিলেও দোকানের ক্যাশ বাক্সে সম্ভবত কোনও নগদ টাকা পায়নি তারা। তাই রাগের চোটে সব মিষ্টির উপর ডিটারজেন্ট পাউডার গুঁড়ো ছড়িয়ে চলে যায়। তবে যাওয়ার আগে ৫ টিন তেল এবং ২ সিলিন্ডার গ্যাসও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ দোকান মালিকের। 


কিন্তু দশ হাজার টাকা মিষ্টির যা হাল হয়েছে সেটি দেখে সবচেয়ে বেশি মুষরে পড়েছেন দোকান মালিক। তাঁর চিন্তা একটাই। এবার সময়মতো অর্ডার পৌঁছবে কী করে? অপরাধের কড়া সমালোচনা করেও আড়ালে অবশ্য় অনেকেই বলেছেন, চুরি করতে এসে যদি নগদই না মেলে রাগ তো স্বাভাবিক। হাজার হোক, কাজটা যে ভীষণ ঝুঁকির। ধরা পড়লে হাজতবাস তো বটেই, তার আগে আরও অনেক দাওয়াই বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও টাকাকড়ি পাওয়া যায়নি। প্রতিশোধের আগুন থেকে তাই ডিটারজেন্ট!


আরও পড়ুন:ফোটোগ্রাফারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, প্রেমঘটিত কারণেই কি মৃত্যু?