সুনীত হালদার, হাওড়া: চোলাই মদের (Illegal Liquor In Uluberia) রমরমা বন্ধ করতে এবার পথে নামলেন প্রমিলা বাহিনী। উলুবেরিয়া তুলসীবেড়িয়ার ঘটনা। গ্রামের মহিলা সদস্যদের বক্তব্য, অবিলম্বে এলাকার চোলাই মদের ঠেক বন্ধ করা হোক। তবে এই নিয়ে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরাই রাস্তায় নেমে চোলাইয়ের ঠেক ভাঙবেন, জানানো হয়েছে সে কথাও। 


কী পরিস্থিতি?
বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বছর হাওড়ার খুসুড়িতে বিস মদ খেয়ে ৮ জনের মৃত্যুর পরও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। তাঁদের দাবি, উলুবেড়িয়ার রাজাপুর থানার অন্তর্গত তুলসীবেড়িয়া সর্দার পাড়ায় এখনও রমরমিয়ে চলছে বেআইনি চোলাই মদের কারবার। এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ এনেছেন গ্রামের মহিলারা। সঙ্গে আরও দাবি, প্রমীলা বাহিনী চোলাই মদ বন্ধ করতে গেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা বেধে যায়। এমনকি, গ্রামের মহিলা সদস্যদের ওপর চড়াও হয় চোলাই মদ ব্যবসায়ীরা এই অভিযোগও রয়েছে। গ্রামবাসীদের মতে, এই তুলসীবেড়িয়া অঞ্চলের সর্দার পাড়ায় ৪-৫ টি চোলাই মদের ঠেক চলে। এই নিয়ে রাজাপুর থানায় বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ এবং আবগারি দফতরের আধিকারিকরা আসেন। কিন্তু খালি ড্রাম এবং প্যাকেট নিয়ে চলে যান। কখনও সখনও চোলাই মদ নষ্ট করে দিলেও ঠেক যেমন ছিল তেমনই চলতে থাকে। মহিলাদের আক্ষেপ, এই চোলাই মদ খেয়ে গ্রামেরই অনেক লোক মারা গিয়েছেন। বহু অল্পবয়সীও নেশাসক্ত হয়ে পড়ছে। এখন তাঁদের দাবি একটাই। অবিলম্বে এলাকায় চোলাই মদ বিক্রি বন্ধ করা হোক। না হলে তাঁরাই রাস্তায় নেমে চোলাইয়ের ঠেক ভাঙবেন। উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিও বলেন, 'পুলিশকে সমস্ত বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করতে বলেছি।' বাস্তবে সত্যি কী হয়, সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।


প্রায় এক ঘটনা দাঁতনে...
চলতি মাসের মাঝামাঝি কার্যত এক ছবি ধরা পড়ে দাঁতনে। অভিযোগ ছিল, অবৈধ চোলাই মদ কারবার ঘিরে আফগারি দফতরের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও বচসা বেধে যায় কারবারিদের। আফগারি দফতরের কর্মীদের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা, এমনও শোনা গিয়েছিল। ঘটনার দিন দুপুরে দাঁতন থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযানে নামে দাঁতন আবগারি দফতর। দাঁতনের গোলা বাজার এলাকায় অভিযানে গিয়ে আফগারি দফতর দেখতে পায় একটি ঘরে অবৈধ চোলাই মত তৈরি চলছে। সেই সময় আফগারি দফতর কর্মীরা গিয়ে চোরাই ঠেক ভেঙে চোলাই মদ তৈরির সামগ্রী নষ্ট করে ফেলে। বচসা শুরু হয় চোলাই কারবারিদের সঙ্গে। আবগারি দফতরের কর্মীরা অবৈধ চোলাই তৈরির সরঞ্জাম হাঁড়ি নিয়ে আসতে চাইলে গোলমাল বাড়তে থাকে। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় হাঁড়ি ছিনিয়ে নিতে চায় অবৈধ চোলাই কারবারিরা। যদিও শেষমেশ সফল হন দাঁতন থানার পুলিশ ও আবগারি দফতরের আধিকারিকরাই। 


আরও পড়ুন:বর্ষবরণেও 'উধাও হবে শীত? কবে থেকে ফের পারদ পতন?