ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বিধানসভায় (WB State Assembly) জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে ১১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর। এফআইআর রুজু করল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ (Kolkata Police)। বিরোধী দলনেতার নামও এফআইআরে যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে পুলিশ। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু।


জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। পাল্টা আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মুহূর্তে বিধানসভায় পৌঁছেছেন ডিসি সেন্ট্রাল। আজকেও বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল বিধায়করা। শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্য করে স্লোগান তৃণমূলের। প্রতিবাদে বিধানসভার গেটে ধর্নায় শুভেন্দু অধিকারীর। প্ল্যাকার্ড নিয়ে থালা বাজিয়ে বিজেপির ধর্না চলছে।


এই ঘটনা শুরু হয়েছিল বুধবার থেকেই। বিধানসভা স্পিকারের কাছে, বিজেপি পরিষদীয় দলের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা এবং বিনা অনুমতিতে প্ররোচনামূলক সভা আয়োজনের অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন স্পিকার। বুধবারই কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালকে বিধানসভায় নিজের চেম্বারে ডেকে কথা বলেছিলেন তিনি। 


বুধবার ছিল ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা। আর সেদিনই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে কালো পোশাক পরে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল বিধায়করা। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। পরে সেই বিধানসভাতেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি বিধায়করাও। সেই সময়েই প্রবল স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিধানসভা চত্বরে তৃণমূলের ধর্নার দিকে আঙুল তুলে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তৃণমূলের তরফেও চোর স্লোগান তোলা হয়েছিল। তৃণমূল-বিজেপি এই সংঘাতে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা চত্বর।


তারপরেই বিধানসভা স্পিকারের কাছে বিজেপির পরিষদীয় দলের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা এবং বিনা অনুমতিতে প্ররোচনামূলক সভা আয়োজনের অভিযোগ জানায় তৃণমূল। কেন এই অভিযোগ? তৃণমূলের দাবি, ধর্নায় মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য রাখার পরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। সেই সময় নীরবতা পালন না করে চোর স্লোগান দিচ্ছিলেন বিজেপির বিধায়করা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেছিলেন, 'স্পিকারকে অনুরোধ করব। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আপনার যা ব্য়বস্থা নেওয়ার আপনারা নিন।' পরে এই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। বুধবারই কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালকে বিধানসভায় নিজের চেম্বারে ডেকেছিলেন স্পিকার। হেয়ার স্ট্রিট থানার কয়েকজন আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আধঘণ্টা তাঁদের কথা হয়েছিল। তারপরেই এদিন হেয়ার স্ট্রিট থানা শুভেন্দু অধিকীর ও ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।


আরও পড়ুন: বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজের বাড়িতে CBI! কীসের খোঁজ?