কলকাতা: সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)- এক্তিয়ার বৃদ্ধি (Extension of BSF Jurisdiction) নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। চার পর দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এ বার অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেনের (Aparna Sen) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার  (Sedition Case) এফআইআর দায়ের করলেন বিজেপি (BJP) নেতা কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaube)।


সোমবার উল্টোডাঙা থানায় অপর্ণার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা আইনে এফআইআর দায়ের করেছেন কল্যাণ। তাঁর অভিযোগ, বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন অপর্ণা। এখনও পর্যন্ত নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি তিনি। তার জন্য ক্ষমাও চাননি। দেশের পাহারায় মোতায়েন সীমান্তরক্ষীবাহিনী সম্পর্কে এমন অবমাননাকর মন্তব্য দেশদ্রোহ ছাড়া কিছু নয়।


গত বছর বাংলা, পাঞ্জাব, লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, আগে যা ছিল ১৫ কিলোমিটার। এর আওতায় বিএসএফ-কে তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করার অধিকার দেওয়া হয়।


বাংলা এবং পাঞ্জাব, দুই রাজ্যের সরকারই এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে। মানুষের উপর অত্যাচার সহ্য করবেন না বলে জানিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।


আরও পড়ুন: Narayan Debnath Health Update: খানিক স্বস্তি, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন নারায়ণ দেবনাথ, খবর হাসপাতাল সূত্রে


সেই সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অপর্ণা-সহ বাংলার বিশিষ্ট মহলও। সাংবাদিক বৈঠকে অপর্ণা বলেন, ‘‘যেন যথেষ্ট ছিল না। হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে, তার পরেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর।’’ মণিপুরের মতো ‘আফস্পা’ না থাকলেও, বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি রাজ্যের জন্য অশনি সঙ্কেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


অপর্ণার এই মন্তব্যে সেই সময়ই বিতর্ক দেখা দেয়। বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ওঁরা চিরদিনই দেশদ্রোহী। দেশের পক্ষে কিছু হলেই বিরোধিতা করেন। ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং হিন্দুত্বের বিরোধী ওঁরা। এখন দেশের বিরোধিতা করছেন। এ দেশের মানুষের কাছ থেকে ভালবাসা, সম্মান, অর্থ পেয়েছেন। আর এ দেশেরই সরকার এবং সেনার বিরোধিতা করছেন।’’ সেই ঘটনাকে টেনেই এ বার অপর্ণার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন বিজেপি নেতা।