ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: থিয়েটার রোডে (Fire In Astor Hotel) হোটেলে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা। হোটেল থেকে বাইরে নিয়ে আসা হল আবাসিক ও কর্মীদের (Kolkata Hotel Fire)। ঘটনাস্থলে দমকল, শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। 


কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, অভিজাত ওই হোটেলের কিচেনের পিছনে হঠাতই কালো থিকথিকে 'ধোঁয়া' দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত খবর যায় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। পুলিশ আধিকারিকরা আসেন। প্রাথমিক ভাবে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আসে। হোটেলকর্মীদের বক্তব্য, তারা আগুনের উৎস চিহ্নিত করতে পেরেছেন। আগুন নেভানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে ওই অভিজাত হোটেলে। সরিয়ে ফেলা হয় আবাসিকদের। পাশাপাশি যাঁরা কিচেনের কর্মী রয়েছেন, তাঁদেরও সরিয়ে আনা হয়। শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ, দমকলের পাশাপাশি হোটেল কর্মীরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন বলে খবর। হোটেলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, যে ধোঁয়া প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছিল তা আপাতত নেই। কারণ আগুনের উৎস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা তাঁদের। এই শহরে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মোটেও বিরল নয়। গত বছর মার্চ মাসে, দোলপূর্ণিমার দিনই যেমন, বাইপাসের ধারে জে ডব্লু ম্যারিয়টের ২৩ তলার সার্ভার রুমে ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। ফলে বের করে দেওয়া হয় ২০ ও ২১ তলের অতিথিদের। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় একঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।তবে আতঙ্ক ছড়ালেও ওই ঘটনায় কোনও হতাহত বা অসুস্থতার ঘটনা ঘটেনি। দোলের দিন ওই অভিজাত হোটেলে অনেক অতিথি ছিলেন, ছিলেন বিদেশিরাও।
তবে শুধু যে কলকাতার অভিজাত হোটেলেই বার বার অগ্নিকাণ্ড হয়েছে তা নয়। রাজ্যের নানা প্রান্তে কম-বেশি এই ধরনের ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই যেমন, দূর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটায় সেভাবে ক্রেতার ভিড় ছিল না। তাই অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মেলে। ঘটনার সকাল ১১টা নাগাদ রান্নাঘরের চিমনি থেকে রেস্তোরাঁয় আগুন ছড়ায় বলে খবর। দমকলের একটি ইঞ্জিনের আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 


 


আরও পড়ুন:'মহুয়া মানুষের ভোটে আবার জিতে আসবে' ফের বহিষ্কৃত সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী