বারাণসী :  জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট বা 'ব্যাস কি তহখানা'তে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি পাওয়ার পরই পুজো হল মধ্যরাতে।  বারাণসী আদালতের অনুমতি পেয়ে মধ্যরাতে জ্ঞানবাপী মসজিদে আরতি করা হল। জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরির আগে সেখানে ছিল মন্দির, দিনকয়েক আগে রিপোর্ট পেশ করে এমনটাই জানিয়েছিল আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এখন মিলেছে পুজার্চনার ছাড়পত্র। তারপরই হল পুজো। পূজার্চনার দায়িত্বে ছিল কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট। 


আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান, সেখানে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।  কেভিএম ট্রাস্টের একজন পূজারি শয়ন আরতি করেন। এএসআই সমীক্ষার সময়  মসজিদ  চত্বরে যে মূর্তিগুলি পাওয়া গিয়েছিল সেগুলি স্থাপন করা হয়। তারপর দেব দেবীদের মূর্তির সামনে প্রজ্বলন করা হয় অখণ্ড জ্যোতি। মধ্যরাতের আরতি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে দেবতাদের দৈনিক আরতি, সকালের মঙ্গলা আরতি, ভোগ আরতি, সন্ধ্যা আরতি, সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আরতি, শয়ন আরতি করা হবে। 


বুধবার বারাণসী জেলা আদালত কর্তৃপক্ষকে হিন্দুদের নামাজ পড়ার জন্য ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে যে আদালতের আদেশের পরেই পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এবং প্রাঙ্গনে আরতি করা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। 


বারাণসী আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে এর জন্য একজন পূজারিকে মনোনীত করতেও বলা হয়েছে। 'তহখানা' হল মসজিদের নীচের ভূগর্ভস্থ ঘর বা পাতালঘর। জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে এমন ৪টি তহখানা রয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ দিকের তহখানাটিতে এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। তাই তহখানাটির নাম 'ব্যাস কি তহখানা'। আদালত হিন্দুপক্ষকে এই ‘ব্যাস কি তহখানা’তেই পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। 


এদিন আদালতের রায় বেরনোর পর আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান, 'এই নির্দেশ ঐতিহাসিক। আমি বলব, ১৯৮৩ সালে অযোধ্যায় রামমন্দির-বাবরি মসজিদ চত্বরের দরজার তালা খোলার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি কৃষ্ণমোহন পাণ্ডে, এই নির্দেশও ততটাই তাৎপর্যপূর্ণ।'