নয়া দিল্লি: শ্রীচৈতন্যদেব আর কৃষ্ণভক্তির টানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে নবদ্বীপ-মায়াপুরে ছুটে আসেন ভক্তরা। হরিনাম সংকীর্ত্তণে মাতোয়ারা হল সকলেই। কৃষ্ণনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই কাজ করে ইসকন। সান্ধ্যকালীন নামকীর্ত্তণ ও আরতি দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। অন্যদিকে চৈতন্যভূম নবদ্বীপেও মাহাত্ম্যর টানে ভক্তরা আসেন দূর দূরান্ত থেকে। সেই নবদ্বীপ-মায়াপুরকে আরও উন্নত করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নদিয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নবদ্বীপ শহর থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকাকে ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে উন্নত করার কাজ করা হবে। মায়াপুরে ৭০০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। মায়াপুরে ইস্কনের তীর্থ নগরী তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও অনেক রাস্তাও হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে শান্তিপুর পর্যন্ত আমরা একটা ব্রিজ তৈরি করে দিচ্ছি যাতে নবদ্বীপের রাসমেলা বা ইসকনে যাতায়াত সহজ হয়।'
পবিত্র এই তীর্থ নগরী তৈরি করতে ৭০০ একর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই তীর্থ নগরীতে থাকবে পুণ্যার্থী, ভক্তদের থাকার সুবন্দোবস্ত।
নবদ্বীপ মায়াপুর ভ্রমণ যাতে আরও সহজ হয় তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের তরফ থেকে নানান প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৈষ্ণব নগরী মায়াপুরকে ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চালানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ মতো এবার শান্তিপুর এবং মায়াপুরকে এক সূত্রে বিরোধী পাওয়ার জন্য চালু হয়েছে লঞ্চ পরিষেবা।
আরও পড়ুন, 'কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়', শান্তিপুরের সভা থেকে মন্তব্য মমতার
এই পরিষেবায় কী থাকছে?
শান্তিপুর থেকে মায়াপুর পর্যন্ত পর্যটক স্পেশাল অত্যাধুনিক লঞ্চ পরিষেবায় শান্তিপুর ঘাট থেকে লঞ্চটি ভাগীরথী জলঙ্গির মোহনা হয়ে মায়াপুরের ফেরি ঘাটে পৌঁছাবে। সেখানে কয়েক ঘন্টা হল্ট করবে ওই লঞ্চটি এবং পর্যটকদের মন্দির ঘুরিয়ে পুনরায় শান্তিপুর নিয়ে আসবে। লঞ্চ পরিষেবার মধ্য দিয়ে পর্যটকরা যাতায়াত করার সময় উপভোগ করতে পারবেন নদীপথের সৌন্দর্য।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে