আবির দত্ত, কলকাতা: সাতসকালে সল্টলেকের (salt lake) FD ব্লকের ঝুপড়ি মার্কেটে (market) ভয়াবহ আগুন (fire)। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। শতাধিক দোকান (shops) ইতিমধ্যেই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে হাওয়ার বেগ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। 


কী পরিস্থিতি?
আগুন কিছুটা হলেও ছড়িয়ে গিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, স্থানীয়রাই প্রথম এই আগুনের হদিস পান। দ্রুত খবর যায় দমকলে, আসে পুলিশ। কী থেকে আগুন সেটি এখনই স্পষ্ট নয়। আপাতত দমকলের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এলাকাটি বাজার এলাকা এবং ঘিঞ্জি। বহু মানুষ সেখানে থাকেনও। তাঁদের নিরাপত্তা ও সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এখন দমকলের কাছে অন্য়তম বড় চ্য়ালেঞ্জ। এই মুহূর্তে হাওয়ার বেগ থাকায় আরও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকে। ৩ ইঞ্জিনের পর আরও কয়েকটি ইঞ্জিন সেখানে যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত ঘন, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। সব মিলিয়ে লড়াই জারি। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা ও অন্যত্র যে সব জায়গার বাজার এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে অতিরিক্ত ইঞ্জিন পাঠানোর প্রবণতা দেখা যায়। এক্ষেত্রেও সেরকমই কিছু হতে চলেছে বলে ধারণা। এই মুহূর্তে অগ্নিকাণ্ডের উৎস খোঁজার চেষ্টা চলছে।  আশপাশে ঝুপড়ি ও দাহ্যপদার্থ থাকায় লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন দমকলকর্মীরা। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা অংশ।


ট্যাংরার কারখানায় আগুন...
গত ডিসেম্বরে ট্যাংরার প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। চারপাশে ঘন জনবসতি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার আগে গড়িয়ার জনবহুল এলাকায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আগুনের গ্রাসে চলে যায় আস্ত একটি বাড়ি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ভোরবেলা এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ  গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে  তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। বাড়িতে কেউ থাকেন না বলেই খবর। বিধ্বংসী এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকানিচোবানি খেতে হল দমকলকর্মীদের। বহুক্ষণ  আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বাড়িটির ভিতরে ঢুকতেই পারেননি দমকল কর্মীরা। সকাল সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িতে কেউ থাকতেন না। স্পিকার তৈরির কারখানা হিসেবে বাড়িটি ব্যবহৃত হত।  ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই আগুন যাতে পাশাপাশি বাড়িতে যেন না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যই লড়াই চালান দমকল কর্মীরা।  এত ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা কীভাবে চলছিল ? কেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই সেখানে,  প্রশ্ন উঠছে। ডোমজুড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লরির গ্যারাজে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গ্যারাজটি। লরি ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইক আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি গোডাউনেও। আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টার লড়াই দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের । বন্ধ গ্যারাজে ইলেকট্রিকাল শর্ট সার্কিট  থেকে আগুন লাগতে পারে, অনুমান দমকলের।