গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গঙ্গাসাগরের (Gangasagar Fire) ৪ নম্বর স্নানঘাটের কাছে বিধ্বংসী আগুন। সরকারি লজের পাশে বেশ কিছু কাঁচাবাড়ি-দোকানে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন।
কী ভাবে লাগল?
আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে বলে খবর। সাগরমেলার ৪ নম্বর স্নানঘাটের কাছে, সরকারি লজের পাশে কিছু কাঁচাবাড়ি তথা দোকানে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। প্রাথমিক ভাবে দমকলের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। ৪-৫টি বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। স্থানীয়দের বক্তব্য, বাড়িগুলির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। তাতে আরও বেড়ে যায় দাপট। বেশ কিছু গবাদি পশু জীবন্ত দগ্ধ হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। তবে বরাতজোরে অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িগুলিতে কোনও মানুষ ছিলেন না। ফলে, বাসিন্দাদের কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। দমকলের ২টি ইঞ্জিন খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। আসে গঙ্গাসাগর থানা এবং গঙ্গাসাগর উপকূল থানার পুলিশ। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। তার আগে সাগরমেলার মাঠে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। আজকের ঘটনার পর সেখানে কিছুটা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
ডানকুনির তেলের মিলে আগুন...
গত কাল, সোমবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেটি ছিল ডানকুনির একটি তেল মিলে। নির্দিষ্ট করে বললে গত কাল ডানকুনির চাড্ডা কমপ্লেক্সে একটি তেলের মিলে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। আশপাশে একাধিক কারখানা ও গুদাম থাকায় আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে গুঞ্জন ছড়ায়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আবার বড়বাজারের কটন স্ট্রিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে বার শাড়ির গুদামে আগুন লেগেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পুজোর মাসদুয়েক আগে আবার বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হাওড়ার মঙ্গলাহাট। গভীর রাতের আচমকা ওই ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল প্রায় ১ হাজার দোকান। আগুন নিয়ন্ত্রণে টানা চেষ্টা চালায় দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রা। আগুন লাগার কারণ নিয়ে তৈরি হয় নানা মহলে।
আরও পড়ুন:চিঠি লিখেও মমতার থেকে জবাব পাননি, কেন এত খারাপ ব্যবহার, প্রশ্ন তাপস-কন্যা সোহিনীর