মনোজ বন্দ্য়োপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ যখন রেমাল-তাণ্ডবে দিশেহারা, তখন আগুন-আতঙ্ক (Fire Incident) ঘিরে আলোড়ন দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে (Durgapur Station Market)। নির্দিষ্ট করে বললে, স্টেশন বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে দোতলা থেকে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায়। আশার কথা হল, বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল।


যা ঘটল...
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ওই দোকানটির দোতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছিলেন তাঁরা। নির্দিষ্ট করে বললে, ইলেকট্রিক সুইচ বক্স থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। আশপাশের ব্যবসায়ীদের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁরা নিজেরাই প্রথমে জল দিয়ে সেই ধোঁয়া নেভানোর চেষ্টা করেন। দোকানের জিনিসপত্র অর্থাৎ কাপড় বাঁচানোরও চেষ্টা করেন সকলে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের যেখানে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তার আশপাশও একাধিক কাপড়ের দোকান রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় বাজারের মধ্যে। এদিনই আবার কলকাতার কসবার রাজডাঙায় ট্রান্সফর্মারে আচমকা বিকট আওয়াজ শোনা যায়। সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন বাসিন্দারা। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। 


আগুনের ঘটনা...
কলকাতা-সহ এই রাজ্যের নানা প্রান্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিরল নয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি যেমন, কলকাতার, ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে। তাতে সর্বস্বান্ত হয়ে যান ঝুপড়ির বাসিন্দারা। অ্যাডমিট কার্ড, বই-খাতা পুড়ে ছাই হয়ে যায় এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরও। কী ভাবে আগুন লাগল, তা অবশ্য় প্রাথমিক ভাবে স্পষ্ট হয়নি। এর পর, গত এপ্রিলে, কলকাতারই বড়বাজার এলাকায় নাখোদা মসজিদের কাছে, বহুতলের মধ্যে প্লাস্টিকের একটি গোডাউনে আগুন লেগে যায়। সে বার যেখানে আগুন লেগেছিল, সেটি ছিল ঘিঞ্জি এলাকা। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলে। অল্প সময়ের মধ্যে এলাকার বহুতল আবাসনগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দুটি ঘটনাক মধ্যে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ঢাকুরিয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। তাতে একসঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২০ টি ঝুপড়ি.। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে লাগাতার চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। ঘটনায় দমকল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে অগ্নি-নিরাপত্তা বিধি, প্রশাসনের সতর্কতা। কিন্তু প্রশ্নই সার। ছবিটা যে বদলাচ্ছে না, সেটা সোমবার ফের স্পষ্ট হয়ে  গেল।


 


আরও পড়ুন:হুইল চেয়ারেই জল পেরিয়ে হাসপাতালে, মেডিক্যাল কলেজে কীভাবে চলছে রোগী দেখা ?