ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: এবার বীরভূমে (Birbhum) চলন্ত ট্রেনে আগুন-আতঙ্ক। আজ সকালে আমোদপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে হাওড়াগামী মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের D-3 কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।


আতঙ্কিত যাত্রীরা: আগুন আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রেলের। এবার ঘটনা বীরভূমে। এদিন সকালে হাওড়ার দিকে আসছিল মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। বীরভূমের আমোদপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে হঠাৎই D-3 কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। তড়িঘড়ি থামানো হয় ট্রেন। মিনিট পনেরো দাঁড়িয়েছিল সেখানে। দ্রুত মেরামতির পর ট্রেনটি ফের হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ব্রেক শ্যু থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল বলে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি। কী কারণে এই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।                 


আগুন আতঙ্ক ট্রেনে: দিনকয়েক আগে আপ শালিমার পুরী এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক ছড়ায়। চলতি সপ্তাহের সোমবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আন্দুল স্টেশন পার হয়ে ট্রেনটি যখন সরস্বতী নদীর উপর দিয়ে ১৭ নম্বর রেল ব্রিজ দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ট্রেন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন যাত্রীরা। সেই সময় ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনের জেনারেল কোচের তৃতীয় বগির নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং রেল কর্মীরা। এরপর তারাই দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন। চাকার ব্রেকের ঘর্ষণের কারণেই এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। আধ ঘণ্টা পর ট্রেনটি পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।


দিনকয়েক আগে খড়গপুরে যাত্রিবাহী বাসে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। কলকাতা থেকে ওড়িশা যাওয়ার পথে, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর খড়গপুরের মাদপুরের কাছে বাসে আগুন লাগে। প্রাণ বাঁচাতে বাসের জানালা দিয়ে লাফ দেন কয়েকজন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই উদ্ধারকার্য শুরু করেন। পরে, ঘটনাস্থলে আসে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ ও দমকল। আহতদের খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। অগ্নিকাণ্ডে মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।  


আরও পড়ুন: Nadia News: চাকদা নাট্যজনের নাটকে 'না'? বুকিং বাতিল নবদ্বীপ পুরসভার