অনির্বাণ বিশ্বাস, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় এবং শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: এবার কি বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএমের সম্ভাব্য় জোটের তাল কাটল? রাহুল-অভিষেক সাক্ষাৎ নিয়ে, অধীর-গড়ে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা মহম্মদ সেলিমের। পাল্টা জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ইন্ডিয়া জোট ভাঙার চক্রান্ত, সেলিমকে মীরজাফর বলে কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। 


গতকাল সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, ভোরের অন্ধকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পেশাল ট্রেন নিয়ে রাহুল গাঁধীর ঘরে চলে গেলেন ভোরে। আমরা তখন বলছি 'চোর ধরো, জেল ভরো'। চোর তখন গিয়ে বলছে কংগ্রেসের পায়ে পড়ে, দাদা আমাকে বাঁচাও। গতকাল মহম্মদ সেলিম আরও বলেছিলেন, কংগ্রেস দলকেও বুঝতে হবে, ২০১১-তে কংগ্রেস দল তৃণমূলকে যদি সমর্থন না করত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিম্মত ছিল না রাইটার্স বিল্ডিংয়ে পৌঁছনোর।' এবার  পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী বললেন, ওঁর মাথাব্যথা এত কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের (গাঁধী) সাথে দেখা করুক আর যার সাথেই দেখা করুক, ওঁর মাথাব্যথা হচ্ছে কেন? উনি কি INDIA ভাঙার চক্রান্তে জড়িত হয়ে পড়ছেন? এখানে যেহেতু INDIA শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, তাই সেটাকে ভাঙার জন্য মীরজাফরের কাজ করার চেষ্টা করছেন?
 
জাতীয় রাজনীতিতে তাঁরা একজোট । কিন্তু, রাজ্য রাজনীতিতে যে একে অন্যের ঘোরতর প্রতিপক্ষ, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। সাগরদিঘি মডেলে ভর দিয়ে,আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু, এর মধ্যেই যেন কিছুটা তাল কাটে শুক্রবার। অধীর গড়ে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে কার্যত বার্তা দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। যার পাল্টা জবাব দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি  অধীর চৌধুরী বলেছেন,'আমাদের না বলে যারা বলছে, তাদের জ্ঞান অর্জন করতে বলুন, তাহলেই হবে। আমরা যা বোঝার বুঝেছি।রাহুল গাঁধীর কাছে কেউ পা ধরতে যায়, রাহুল গাঁধী বলবেন পা ধরো না? আমরা সেটা করতে পারি না।'


আরও পড়ুন, 'দিদিমণির সকালবেলা মাথা গুনতে হয়..', কেন বললেন দিলীপ ?


 সিপিএম-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ফিরহাদ হাকিম বাজারে নেমে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে, অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে। ভোরবেলা, সূর্য ওঠার পারলে প্রায় আগে একেবারে শুটবুট পরে গিয়ে সোজা রাহুল গাঁধীর পায়ে ড্রাইভ মেরে দিলেন কেন? অভিষেক, কেন? বিজেপি ওকে কাজ দিয়েছে, বিজেপি বিরোধী জোটের মধ্যে ঢুকে যাতে এদিক-ওদিক করা যায়, বিজেপির উদ্দেশ্য সাধন করতে গেছে, এটা অভিষেকের বিরুদ্ধে যায়, রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে নয়।'এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এটা ওদের ইন্ডিজোটের ব্যাপার। কে কার সাথে ফিস ফ্রাই খাবে। কে কার কাছে ছুটে যাবে, একেবারেই ওদের নিজস্ব ব্যাপার।