সিউড়ি: নিয়োগে দুর্নীতি থেকে গরু, কয়লা পাচার। দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার দল। সেই আবহে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। তার আগে বীরভূমে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাবমূর্তিকেই সামনে রাখলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ফিরহাদ জানালেন, আজও টালির চালের ঘরে থাকেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। বিধায়ক-সাংসদ হয়েও কখনও বেতন তোলেননি। 


দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বীরভূমে মুখ খুললেন ফিরহাদ


দু'দিন আগেই জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বলে পরিচিত বীরভূমে বিজেপি-র হয়ে সভা করেন শাহ। সেখানে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল, সর্বোপরি মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। রবিবার সিউড়িতে তারই পাল্টা সভা করেন ফিরহাদ। সেখানে ইরিগেশন মাঠে তার জন্য জমজমাট আয়োজন হয়েছিল। আর সেখানে দাঁড়িয়েই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ। 


দুর্নীতিতে যখন দলের একের পর এক নেতার নাম জড়িয়েছে, লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধীরা, সেই আবহে ফিরহাদ বলেন, "আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হয়। আমরা কি দুর্নীতিগ্রস্ত? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও টালির চালের ঘরে থাকেন। বিধায়ক এবং সাংসদ থেকেছেন একাধিক বার। কিন্তু কখনও বেতন নেননি।" শাহের উদ্দেশে ফিরহাদ বলেন, "আপনার বলতে লজ্জা করল না? অন্য কেউ হলে প্রমাণ দেখাতেন।"


আরও পড়ুন: Firhad Hakim: ‘আগেও বলেছিলেন ২০০ আসন পাবেন, মমতাতেই আস্থা বাংলার’, শাহকে নিশানা ফিরহাদের


দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ফিরহাদ বলেন, "কেউ অন্যায় করে থাকলে, দোষ তাঁর।। বিশ্বাস ভাঙা অবশ্যই অন্যায়। কিন্তু কোনও মন্ত্রী অন্যায় করে থাকলে দোষ তাঁর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়।" বাংলার মানুষ আজও মমতাকে ভরসা করেন বলেও এ দিন মন্তব্য করেন ফিরহাদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি লক্ষ্যের ধারেকাছে পৌঁছবে না বলেও দাবি করেন


রাজনৈতিক স্বার্থে ED-CBI-সে ব্যবহারের অভিযোগ ফিরহাদের


দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই এবং ইডি। এখনও তল্লাশি চলছে দফায় দফায়। গোড়া থেকেই এ নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল। এ দিন ফিরহাদও তেমনই দাবি করেন। বলেন, "CBI-কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছিলেন অমিত শাহ। ক্ষমতায় এসে সেই CBI-কে হাতিয়ার করেছেন অমিত শাহ। আপনার গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছিলেন। তা হলে আমাদের বেলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় কেন?" এ নিয়ে যদিও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র সজল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, শাহের পাল্টা সভা করতে ফিরহাদকে পাঠানো হল কেন? ফিরহাদের কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি।