শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দীর্ঘ টালবাহানার পর ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচবিহার কলকাতা বিমান পরিষেবা চালু হয়েছিল। তিন বছরের মাথায় এই পরিষেবা আবার বন্ধ হতে চলেছে। 

Continues below advertisement

কোচবিহার বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পরিষেবা প্রদানকারী বেসরকারি বিমান সংস্থা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে তারা আর বিমান পরিষেবা দিতে পারবে না। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে কোচবিহার থেকে কলকাতা ৯ আসন বিশিষ্ট একটি বিমান পরিষেবা চালু হয়, যা চালু করে ইন্ডিয়া ওয়ান নামে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা। পুরাণ প্রকল্পে ভর্তুকি মেলায় টিকিটের দাম ছিল তুলনামূলক কম, তাই প্রায় তিন বছর বিমান চলাচল নিরবিচ্ছিন্নভাবে করেছিল এই রুটে। অবশেষে ছন্দপতন আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এই বিমান চালাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিমান সংস্থা।                                         

Continues below advertisement

সূত্রের খবর উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছ থেকে ভর্তুকি পেত এই সংস্থাটি। সংস্থাটির সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। কাজেই ভর্তুকি ছাড়া বিমান বিমান চলাচল করা সম্ভব নয় এমনটাই জানিয়েছে সংস্থা। 

গত তিন বছর ধরে এই বিমানবন্দরে একমাত্র বিমান সংস্থা ‘ইন্ডিয়া এয়ার ওয়ান’ বিমান পরিষেবা চালাচ্ছিল। কিন্তু তারা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। সোমবার সংস্থার তরফে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এএআই) কোচবিহার বিমানবন্দরের আধিকারিকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তবে পরিষেবা বন্ধের কারণ সম্পর্কে সংস্থা কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। চিঠিতে শুধু ‘অপারেশনাল মোড’ উল্লেখ করে পরিষেবা বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন। 

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন তার আগে কোচবিহার বিমান পরিষেবা বন্ধ হতে বসায়, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক, এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেধেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।  

২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে ফের ৯ আসনের বিমান পরিষেবা চালু হয়। যাত্রীর ঘাটতিও ছিল না। সোমবার পর্যন্ত সব আসন ভর্তি নিয়েই বিমান কলকাতা গিয়েছে। তবুও সংস্থা হঠাৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।