প্রবীর চক্রবর্তী ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: সরশুনার বাসুদেবপুরে রহস্যময় বিস্ফোরণ। জখম হন এক ব্যক্তি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে জালকাঠি। এই নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কী ধরনের বিস্ফোরণ, খতিয়ে দেখছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড


যা জানা গেল...
সকাল তখন ১১টা। চারপাশে বাড়ি, দোকান, লোকজনের ভিড়। আর পাঁচটা দিনের মতোই চেনা ব্যস্ততার ছবি। আচমকাই বিকট শব্দ। চমকে উঠলেন সরশুনার বাসুদেবপুরের বাসিন্দারা। সব কিছু ঠাওর হওয়ার আগেই দেখেন, রাস্তার ধারে আর্বজনার স্তূপের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। জানা যায়, শিশি-বোতল কুড়োতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর জখম হন সইদুল নস্কর নামে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। এক প্রত্যক্ষদর্শী বললেন, 'বিকট আওয়াজ শুনে এসে দেখি ধোঁয়া বেরোচ্ছে। জানি না কী হয়েছে। ওঁর মুখ এবং সারা শরীর থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল।' ঘনবসতি এলাকায় এভাবে বিস্ফোরণ হওয়ায় মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর এক জন বললেন, 'ঘটনাস্থলের ঠিক পাশেই 'বাচ্চারা ব্যাডমিন্টন খেলে। ভয়ের কিছু ঘটতে পারত। আমরা আতঙ্কিত।' খবর পেয়ে বিস্ফোরণস্থলে যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। যেখানে বিস্ফোরণ হয়, সেখান থেকে ভাঙা বোতল, জালকাঠি ও আরও ৩টি বোতল উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। ঘনশ্রী বাগ পুলিশকে বলেছেন, 'বিস্ফোরণে গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিকে পাঠানো হচ্ছে।'


পঞ্চায়েত ভোটের মুখে...
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় বোমাবাজি, বোমা উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রায় দিনই প্রকাশ্যে আসছে। গতমাসের শেষে মুর্শিদাবাদে সাগরদীঘির থানা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের (NH 34) উপর মোড় গ্রামে  নাকা চেকিংয়ের সময় উদ্ধার বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার এক দুষ্কৃতি। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫ রাউন্ড কার্তুজ। ধৃত তাবারুক সেখ লালগোলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সাগরদীঘি থানার পুলিশ নাকা চেকিংয়ের সময় মোড়গ্রাম থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। পাশাপাশি, মালদার মানিকচকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ১। মানিকচকের এনায়েতপুরে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি। পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, অনুমান পুলিশের। চক্রের বাকি পান্ডাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি  গত ১৯ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমানে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল এসটিএফ। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, মন্তেশ্বরের বাসিন্দা কুরবান আলি ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসে বিক্রির জন্য। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা রাকেশ মোল্লাকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের কথা ছিল। তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালয়ে দু’জনকে ধরে ফেলে এসটিএফ। ধৃত কুরবানের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন:ধনকড়-অধ্যায় অতীত, নয়া রাজ্যপাল 'নিপাট ভদ্রলোক', বললেন মমতা