Giriraj Singh: 'ভুয়ো জব কার্ডের নামে দুর্নীতি বাংলায়..', মমতাকে নিশানা গিরিরাজের

Giriraj Attacks Mamata: সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ, কী বললেন গিরিরাজ সিংহ ?

Continues below advertisement

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে আজ দিল্লিতে তৃণমূল (TMC)। আজ থেকে শুরু দু'দিনের কর্মসূচি। রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্না শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের মন্ত্রী সাংসদরা (Abhishek Banerjee)। যদিও তা দীর্ঘতর হয়নি, তৃণমূলের ধর্নার শেষলগ্নে বিশৃঙ্খলা। ধাক্কাধাক্কি। লাঠি উঁচিয়ে ধর্না থেকে তুলে দেয় দিল্লি পুলিশ। শাহ-র পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগে ফুঁসছে বাংলার শাসকদল (TMC)। আর এহেন পরিস্থিতিতেই রাজ্য সরকারকে জোর নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী (Giriraj Singh)। 

Continues below advertisement

সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণ করেছেন গিরিরাজ সিংহ। তিনি সাফ জনিয়েছেন, 'প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক থেকে আবাস যোজনা, বাংলাকে বঞ্চনা করেনি কেন্দ্র। বাংলার গ্রামোন্নয়নে ইউপিএ জমানার তুলনায় দ্বিগুণ বরাদ্দ করেছে এই সরকার। ভুয়ো জব কার্ডের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়।'

'বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বাংলায় রাজনীতি করা হয়েছে। ইউপিএ জমানায় ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।বিজেপির জমানায় বাংলার জন্য ১০০ দিনের কাজে ৪ গুণ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।বাংলায় যাদের দোতলা-তিনতলা বাড়ি তাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন। যাদের বাড়ি পাওয়ার তাঁরা পাননি। বাংলায় মাটির বাড়ি ধসে মৃত্যুর দায় তৃণমূল সরকারের'। সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের পাশে বসিয়ে দিল্লি থেকে আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের।

সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই কথা থামিয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজঘাটে বাকি যে তৃণমূল শিবিরের নেতা-কর্মীরা হাজির ছিলেন তাঁদের 'ঠেলে' বাইরে করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। হুইসেল বাজিয়ে, লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মীদের কার্যত তাড়া করে রাজঘাট থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনার মাঝেই দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে রাজঘাট ছেড়ে বেরোলেও তৃণমূলের (TMC) বাকি অনেক নেতা ও কর্মীদের দিল্লি পুলিশের হেনস্থার মুখেই পড়তে হয় বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুন, পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর, কীভাবে পরিচালনায় এলেন তপন সিংহ ?

তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাঝে এসে হঠাৎই ধাক্কাধাক্কি করে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআরপিএফ। প্রতিবাদ জানিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানালেও কোনও কথাই কানে তোলেনি দিল্লি পুলিশ। যদিও দিল্লি পুলিশের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকে আসেন। কিন্তু তৃণমূলের ধর্নার জেরে একদিকের গেটে প্রচুর ভিড় জমে গিয়েছিল। তাই তৃণমূল কর্মীদের প্রথমে বারবার সরে যেতে বলে মাইকে জানানো হয়। তারপরও তাঁরা না সরায় তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola