গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগর মেলার প্রথম দিনেই বিপত্তি। ঘন কুয়াশার জেরে ব্যাহত হল ভেসেল পরিষেবা। প্রায় দেড়-দু’ ঘণ্টা পুরোপুরি বন্ধ থাকল পারাপার। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যায়। কাকদ্বীপের লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। সকাল ৮টা থেকে ভেসেল চলাচল শুরু হলেও, এখনও তা অনিয়মিত।
দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন বন্ধ করে দেয় ভেসেল পরিষেবা। কাকদ্বীপের লট নং আটের জেটিঘাটে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় পুণ্যার্থীদের।
গতকালই গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে সাগরের হেলিপ্যাডে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে যান ভারত সেবাশ্রমে। এরপর কপিল মুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন মমতা। রাতে গঙ্গাসাগরেই ছিলেন তিনি। আজ জয়নগরের বহড়ু হাইস্কুল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভা রয়েছে। এই সভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও সরকারি পরিষেবা প্রদান করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর থেকে হেলিকপ্টারে জয়নগরে পৌঁছে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা সেরে আজই ফিরবেন কলকাতায়। বাবুঘাটেও আজ তাঁর একটি কর্মসূচি রয়েছে।
এদিকে গঙ্গাসাগর মেলার কিছুদিন আগেই একটি বিপজ্জনক চরের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল ভেসেল পরিষেবা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছিল গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মুড়িগঙ্গায় ডুবে গিয়েছিল একটি বাংলাদেশি জাহাজ। ডুবে যাওয়া সেই জাহাজের ওপর ১০ বছর ধরে পলি জমতে জমতে তৈরি হয়ে গেছে আস্ত চর। কপিলমুনির আশ্রমে যেতে হলে কাকদ্বীপের লট এইট থেকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরোতে হয়। ওপারে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে আরও এক ঘণ্টার পথ গঙ্গাসাগর।
আরও পড়ুন, সরকারি স্কুলে ব্যবসা হচ্ছে, পড়াশোনা হচ্ছে না, বিরক্তি প্রকাশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে থাকা বাংলাদেশি বার্জকে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পরে তা আদৌ কেটে তোলা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।