কলকাতা: দুদিন আগেও তার মুখে শোনা যেত শাসকদলের (TMC) হয়েই কথা। আজ তিনি শাসকদলে থাকলে গার্ডেনরিচ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিতেন, সেকথা অপ্রাসঙ্গিক। তবে গত সপ্তাহে সবে মাত্র দল বদল করেই, গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ের পর শাসকদলের দিকে তোপ দাগলেন অর্জুন সিংহ (Arjun Singh)।
এদিন অর্জুন সিংহ বলেন,'পৃথিবীতে কোথাও কলকাতার মতো বেআইনি নির্মাণ হয় না। কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন। বিধায়ক, কাউন্সিলর, পুলিশ মিলে ত্রিস্তরীয় দুর্নীতি চালাচ্ছে।' মূলত, গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ের পর ইতিমধ্য়েই অবৈধ নির্মাণ ঘিরে বামেদের দিকে আঙুল তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। 'বেআইনি ভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছিল বহুতলটি', স্বীকার করে নেন খোদ মেয়র। তবে দোষ চাপান বাম আমলের উপর। যদিও এই মন্তব্যের আগেই অবৈধ নির্মাণের ইস্যুতে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপ ঘোষ।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'গোটা কলকাতাকে অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা (TMC Leader) দিয়ে রেখেছে। তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়। প্রতি স্কোয়ার ফিটে যদি আপনি পয়সা নেন, তাহলে আপনার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মেরুদন্ডে জোর থাকবে। আজকে একটা ভেঙেছে, ৩০ বছর পর আরও বাড়ি ভাঙবে। । আপনি উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, চেতলা কোথায় যাবেন ? সব জায়গায় কাউন্সিলর স্কোয়ার ফিটে টাকা নেয়। এরা হচ্ছে স্কোয়ার ফিট কাউন্সিলর। এক এক জন কাউন্সিলরের সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এক কাউন্সিলর পি ডাব্লিউ ডি জায়গা দখল করে বাইপাস ধাবা বানিয়ে বসে আছে। এইতো তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর।'
আরও পড়ুন, প্রায় ৫০ কিমি বেগে বইতে ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণবঙ্গে ৭ জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস..
গত শনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়েছে। আর ঠিক তার আগের দিনই দীর্ঘ জল্পনার পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংহ। মূলত তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম না পেয়েই ক্ষুব্ধ হন তিনি। শাসকদলের জনগর্জন সভায় যখন একের পর একজনের নাম ঘোষণায় চমক দিচ্ছে তৃণমূল, তখন নিজের নাম না শুনতে পেয়ে কার্যতই বলে বসেন, তৃণমূলে ফেরা ঠিক হয়নি। এরপর নিজের অফিস থেকে সরিয়ে ফেলেন মমতা-অভিষেকের ছবি। কিন্তু কোন পথে যাবেন অর্জুন ? তারপরেও চলছিল জল্পনা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরপরই দল বদল করে বিজেপিতে চলে যান অর্জুন সিংহ। আর তারপরেই এদিন গার্ডেনরিচকাণ্ডে নিশানা করলেন অর্জুন সিংহ ।