জয়ন্ত পাল, কলকাতা: গার্ডেনরিচে ঝুপড়ির ওপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ (Garden Reach Building Collapse)। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত বহু। এখনও আটকে একাধিক জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এনডিআরএফ। সোমবার সকালে দিল্লির মুখে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) এসে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Leader Sukanta Majumdar)। 


সুকান্ত বলেন, 'গোটা কলকাতাকে অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা (TMC Leader) দিয়ে রেখেছে। তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়। প্রতি স্কোয়ার ফিটে যদি আপনি পয়সা নেন, তাহলে আপনার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মেরুদন্ডে জোর থাকবে। আজকে একটা ভেঙেছে, ৩০ বছর পর আরও বাড়ি ভাঙবে। । আপনি উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, চেতলা কোথায় যাবেন ? সব জায়গায় কাউন্সিলর স্কোয়ার ফিটে টাকা নেয়। এরা হচ্ছে স্কোয়ার ফিট কাউন্সিলর। এক এক জন কাউন্সিলরের সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এক কাউন্সিলর পি ডাব্লিউ ডি জায়গা দখল করে বাইপাস ধাবা বানিয়ে বসে আছে। এইতো তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর।' সুকান্তর পাশাপাশি এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারীও।


গার্ডেনরিচে বহুতল বিপর্যয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন'গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা মেয়র ও পুরমন্ত্রীর তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত। হতাহতর সংখ্যা নিয়ে একের পর এক ফোন আসছে। দুর্গতদের উদ্ধারে অবিলম্বে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠান', মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার সিপি-কে উদ্দেশ করে পোস্ট শুভেন্দুর। যদিও ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন ফিরহাদ হাকিমও। মূলত গার্ডেনরিচে বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় বামেদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। 


আরও পড়ুন, 'গার্ডেনরিচে মৃতের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা, আহতদের..', ঘোষণা ফিরহাদের


অপরদিকে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বলেন , 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যারা মারা গিয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা, আহতদের পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।'  রবিবার রাত ১২টা নাগাদ, কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুরে ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বহুতলটি। আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় একাধিক ঝুপড়ি ছিল। সেই ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ে বহুতলটি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা, খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশ, দমকল কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।