সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পুরভোটের (WB Municipal Polls 2022) অশান্তির রেশ রইল একদিন পরেও। দফায় দফায় অশান্তির খবর উঠে এল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তা থেকে বাদ গেল না পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur News) ঘাটালও (Ghatal News)। সেখানে রাস্তায় অবরোধে বসে বিজেপি (BJP)। সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।


ঘাটালের কুশপাতা বাসস্ট্যান্ডের ঘটনা। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে অবরোধ চলছিল রাজ্য সড়কে। তাতে সকাল থেকে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। অবরোধ তুলতে শেষমেশ এগিয়ে আসতে হয় পুলিশকে। তাতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় অবরোধকারীদের মধ্যে তেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


১২ ঘণ্টার বনধের সমর্থনে এ দিন রাস্তায় নামে বিজেপি। তাতে ঘাটাল থেকে একের পর ঘটনা সামনে আসতে থাকে। জোর করে ব্যাঙ্ক, দোকান বন্ধ করে দেওয়া থেকে উত্তেজনা তৈরির অভিযোগও ওঠে। এমনকি ঘাটাল মহকুমা আদালতে পতাকা হাতে ঢুকে পড়েন বনধ সমর্থকেরা। তাঁদের আটকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় আদালতের ফটক।


তাতে আদালত শীতলের নেতৃত্বে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। আদালতের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এর পরই সেখান থেকে রাজ্য সড়কে নামেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। সেখানে বাসের কাচ ভাঙা হয়। রাস্তা আটকে চলে অবরোধ।


পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে রবিবারই রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি। তার পর সোমবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। সেই নিয়ে দিনভর উত্তেজনা বজায় ছিল।  ১২ ঘণ্টার বনধ সফল করতে এ দিন জায়গায় জায়গায় রাস্তায় নামেন বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা। বিধাননগরে রেললাইনের উপর দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা টায়ার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এমনকি ট্রেন আটকানোর চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: Bangla Bandh: বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক ধরপাকড়, বিজেপির ডাকা বনধে উত্তেজনা বালুরঘাটে


বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বিজেপি কর্মী রা পিকেটিং করেন। চ্যাংদোলা করে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভের পর, বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড়ে ৫১২ জাতীয় সড়ক অবরোধও করে গেরুয়া শিবির। তাতে সামিল হন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে পুলিশে সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার পর, জেলাশাসকের দফতরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি।


এ ছাড়াও, বিজেপি-র পথ অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে শিলিগুড়িতেও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।  শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে সফদর হাসমি চকে বসে পড়েন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।  গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েক জনকে।