সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: গোয়ার নাইট ক্লাবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মর্মান্তিক মৃত্যু সুভাষ ছেত্রীর। শোকের ছায়া পরিবারে। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে তার কফিনবন্দি মৃতদেহ এসে পৌঁছাল।
জানা গিয়েছে দুই বছর আগে অনেক আশা নিয়ে গোয়ায় রওনা দিয়েছিলেন তিনি। গোয়ার ওই নাইট ক্লাবে রাঁধুনির কাজে যোগ দিয়েছিলেন সুভাষ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, শনিবার বিস্ফোরণের সময় সেখানেই কাজ করছিলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে শিলিগুড়ির বাগডোগরারা এলাকার বাসিন্দা সুভাষ ছেত্রীও রয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন সুভাষের মা টঙ্কা মায়া ছেত্রী। সুভাষই যে তাঁর পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন। তাঁর ওপরেই গোটা পরিবারের দায়িত্ব ছিল। সংসার চলত তাঁর আয়ে। তবে অচিরেই থেমে গেল সবটা। এদিন সুভাষের কফিনবন্দী নিথরদেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সভাধিপতি রুমা রেশমী এক্কা সহ স্থানীয় পঞ্চায়েতের অনেকে।
শনিবার রাতে উত্তর গোয়ার আরপোরা গ্রামের নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড হয়। গত বছর খোলা হয়েছিল এই ক্লাব। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই ক্লাব। ওই নাইটক্লাবের বহু কর্মচারীই এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গোয়ার পুলিশ প্রধান সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গোয়া পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অলোক কুমার জানিয়েছেন, আগুনে পুড়ে কিছু লোক মারা গিয়েছেন। অন্যান্যরা শ্বাসরোধ হয়ে মারা গিয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এটিকে দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। নিরাপত্তার মানদণ্ডে, কোনও অবহেলা পাওয়া গেলে, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।
এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'আরপোর, গোয়ার অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। আহতরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ হয়ে উঠুক। আমি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। গোয়া নাইট ক্লাব দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ত্রাণ তহবিলে আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।'