কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) পর গঙ্গাসাগরে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose in Gangasagar)। পুজো দিলেন কপিলমুনির আশ্রমে। ঘুরে দেখলেন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনাও। আজ সকালে গঙ্গাসাগরে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।


 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুরে যাওয়ার পর গঙ্গাসাগরে গত দুদিনে রাজ্য বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা এলেন। গতকাল দিলীপ ঘোষের পর আজ গঙ্গাসাগর মেলায় এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সকাল দশটা নাগাদ নামখানা থেকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বেনুবন হয়ে গঙ্গাসাগরে এসে পৌঁছন সুকান্ত। দলীয় বেশ কয়েকটি কর্মসূচি সেরে দুপুরে সমুদ্রের স্নান করে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরপর  সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কটাক্ষের পাশাপাশি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দেন তিনি।


এদিকে দু’দিনের জন্য গঙ্গাসাগরে মেলার আগের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানে একাধিক বন্দোবস্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, ৫ লক্ষ ইন্স্যুরেন্স সহ গণ পরিবহন, চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বলেছিলেন,'মেলায় যাঁরা আসছেন তাঁদের জন্য ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা থাকছে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইন্স্যুরেন্স দেওয়া হবে। পুলিশ, ভলেন্টিয়ার, তীর্থযাত্রী সহ সাংবাদিকরা এই সুবিধা পাবেন।'


তিনি আরও জানান,' গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও সমস্যা হলে রয়েছে টোল ফ্রি নম্বরও। এবারের মেলায় মোট ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে। আড়াই হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছ’টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, একশোটি লঞ্চ, অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জিপিএস ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং করা হবে। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স ও অন্যান্য ভলেন্টিয়ারও নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু মেলার জন্যই ৩০০ বেডের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল থাকবেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের রোগীদের জন্য থাকছে গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত।'


আরও পড়ুন, বন্ধুর ডাকে পিকনিকে যোগ, মেসবাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ITI পড়ুয়ার


আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। এর মধ্য়ে, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি রয়েছে মকরস্নান। মেলায় সমাগম হতে পারে ৪০ লক্ষ পুণ্যার্থীর। এই জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ বন্দোবস্ত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। মেগা কন্ট্রোলরুমে থাকছে ১ হাজার ১৫০ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। রাখা হচ্ছে দমকলের ৫০ টি ইঞ্জিন। প্রশাসন সূত্রে খবর, সাগরমেলার জন্য ১১টি অস্থায়ী দমকলকেন্দ্র ও ৫০টি ইঞ্জিন থাকবে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত এলাকায় পৌঁছে যাবে কর্মী সহ বুলেট। এই বুলেটে অগ্নিনির্বাপক সব ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া অগ্নিনির্বাপনের জন্য নদীর জলের পাশাপাশি জলাধার ও পাইপ লাইনের জল ব্যবহার করবে দমকলকর্মীরা।