কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, দীপক ঘোষ ও শিবু পাল, কলকাতা : পুরভোটের আগে হাওড়া (Howrah Municipality) থেকে আলাদা করা হয়েছে বালি পুরসভাকে। গত ১২ নভেম্বর বিরোধীশূন্য বিধানসভায় পাসও হয়ে গেছে হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল ২০২১। এই প্রেক্ষাপটেই, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিল সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল। হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল ২০২১ নিয়ে বিধানসভায় কী বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের কাছে তা জানিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankar)। আর যা নিয়েই ফের তৈরি হয়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ। ওনার জানার এক্তিয়ার নেই। পাল্টা মন্তব্য করেছেন সৌগত রায় (Saugata Ray)।
নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে এই চিঠি পোস্ট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, ১৭ নভেম্বর বিধানসভার সচিবের তরফে তাঁকে হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপাল লিখেছেন, হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল-২০২১ নিয়ে বিধানসভায় কী কী বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডলকে ট্যাগ করে, চাওয়া হয়েছে বিল সম্পর্কিত যাবতীয় নথি। ভারতীয় সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার সম্পর্কে কী বলা হয়েছে, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। গোটা বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিজেপি ও তৃণমূলের তরজা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'রাজ্যপাল একজন আইন বিশেষজ্ঞ। সুতরাং তিনি যেটা উপযুক্ত মনে করেছেন সেটাই করেছেন।' পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'রাজ্যপালের কোনও অধিকার নেই জানার, সংবিধানটা ভাল করে পড়ুক। তাও আমরা জানিয়ে দেব জানতে চেয়েছেন যখন।'
সম্প্রতি BSF-এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর বিরোধিতায়, রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করেছে সরকারপক্ষ। পাশাপাশি CBI ও ED-র দুই শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগে প্রস্তাব আনেন, উপ মুখ্যসচেতক ও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। দু-দিন আগে যার কার্যবিরণী চেয়ে পাঠান রাজ্যপাল। এবার হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিষয়টি নিয়েও বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠালেন তিনি।
আরও পড়ুন- ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, বাংলায় শিল্পে লগ্নি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি ধনকড়ের
আরও পড়ুন- '১০ বছর জিটিএ-র ক্যাগ অডিট হয়নি কেন'? অমিত মিত্রের কাছে জবাব চাইলেন রাজ্যপাল