সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে আন্দোলন। বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান-আন্দোলন করছেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। এবার কালীঘাট মন্দির পর্যন্ত মিছিল করতে চাইলেন তাঁরা। সেই দাবিতে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। 


গত ৬ মে হরিশ মুখার্জি রোডে ডিএ আন্দোলনকারীরা মিছিল করেছেন। কিন্তু সেদিন ওই মিছিল করতে দফায় দফায় আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ডিএ আন্দোনকারীদের। সেই পথেই এবার হাঁটতে চলেছেন গ্রুপ ডি-এর চাকরিপ্রার্থীরা। শহিদ মিনার থেকে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করার আবেদন জানিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। ১৭ মে মিছিল করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। 


কেন আদালতে:
কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ৬ তারিখ। এখনও পুলিশের কোনও রিপ্লাই আসেনি। সূত্র মারফত তাঁরা জানতে পেরেছে অনুমতি দেওয়া হবে না। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।' কালীঘাট মন্দির থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দূরত্ব ১ কিলোমিটারেরও কম। এই এলাকায়, মিছিলের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। 


সম্প্রতি, হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে মিছিলের অনুমতি চেয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। কিন্তু আপত্তি জানায় পুলিশ। সেই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে ধর্না-বিক্ষোভ হয়। হঠাৎ হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপনাদের আপত্তি কেন? তখন রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ওই এলাকা খুব স্পর্শকাতর। তার পাল্টা বিচারপতি বলেছিলেন, যে রুট দেওয়া হয়েছে, সেটা সবচেয়ে শান্ত এলাকা। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, এই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছড়িয়ে যায়, তার দায়িত্ব কে নেবে? ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, আবেদন করার পরে, ৩ মে কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। বিচারপতি মান্থা বলেন, সবাই যে আশঙ্কা করছে, সেটা আদালত বুঝতে পারছে। এরপরই, মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনও রকম অশান্তি হবে না, সেই ভাবে মিছিল করতে হবে। গত ৬ তারিখ সেই মিছিল হয়। ১৭ মে কালীঘাট মন্দির পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পাবেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা? সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 


আরও পড়ুন: গরমকালে জল ঠান্ডা রাখতে ফ্রিজকেও হার মানাবে মাটির কুঁজো! কেন ঠান্ডা থাকে জল?