কলকাতা: কেউ যদি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়, সেটা আত্মবিশ্লেষণ নয়, পরচর্চা। চিন্তন বৈঠকে দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনার জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, আত্মবিশ্লেষণ তখনই হবে যখন কেউ নিজের ভূমিকা বিচার করবেন। নির্বাচনে না লড়ে যদি কেউ ভুল-ত্রুটি ধরেন তাহলে তাঁর দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
সূত্রের খবর, পুরভোটে পরাজয় নিয়ে বিজেপির চিন্তন বৈঠকেও, আত্মবিশ্লেষণের আর্জি জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নিজেদের দুর্বলতাকে স্বীকার করতে হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে, তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা জবাব এসেছে শাসকদলের তরফেও।
শুধু সন্ত্রাস সন্ত্রাস বললেই হবে না! স্বীকার করতে হবে নিজেদের দুর্বলতাকে! দেখতে হবে কীভাবে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসছে! পুরভোটে পরাজয় নিয়ে ফের আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান জানান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, শনিবার দলের চিন্তন বৈঠকে সংগঠন সংক্রান্ত আলোচনায় এমনই মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের পর্য়বেক্ষক অমিত মালব্য, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারদের সামনেই দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন লকেট।
সূত্রের খবর, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই কার্যত বিদ্রোহীদের সুরে রাজ্য বিজেপির কমিটি গঠন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হুগলির সাংসদ। অভিযোগ করেন, কমিটিতে যোগ্যতা নয়। গুরুত্ব পেয়েছে কোটা। লকেট আরও বলেন, পুরনো নেতাদের একেবারে সরিয়ে দেওয়াটাও ঠিক হয়নি।
কলকাতা-সহ ৫ কর্পোরেশন নির্বাচনের পরে রাজ্যের ১০৮-টি পুরসভার ভোটেও বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। ১০৮টি পুরসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে, তৃণমূলের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। তারা পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপির ঝুলিতে ১৩ শতাংশ ভোট। বামেরা তাহেরপুর পুরসভা দখল করতে পারলেও
বিজেপির ভাঁড়ার শূন্য! ১০৮ পুরসভার ভোটে মাত্র ৬৩টি ওয়ার্ডে জিতেছে তারা।
দলের শোচনীয় ফলাফলের জন্য আগেই আত্মসমালোচনার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।