রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর: নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) এক নাবালিকা বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দানা বাঁধল রহস্য। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে খুন করার পর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় স্বামী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ।
নাবালিকা বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য: ছ’মাসও হয়নি। ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, যাঁকে ভালোবেসে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল, তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল খুনের অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে, গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, ১৬ বছর বয়সেই, নরেন্দ্রপুরের গোপালনগরের এক বাসিন্দার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে ওই কিশোরী।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই, শ্বশুরবাড়িতে বধূর ওপর নির্মম অত্যাচার শুরু হয়। পরিবারের দাবি, অশান্তির কথা একাধিকবার মা-বাবাকে জানিয়েছিল কিশোরী। এরইমধ্যে, বুধবার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বধূর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বধূকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের শরীরে রয়েছে নির্যাতনের চিহ্ন। একাধিক জায়গায় কালশিটে। ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। যেহেতু বিয়ের মাস ছয়েকের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে, তাই শুরু হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত। বধূর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিনকয়েক আগে ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ায় অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মহিলার কাকা, কাকিমা ও খুড়তুতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, বড় ভাইয়ের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে পেটে লাথি মারেন কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরে হাসপাতালে মৃত শিশু প্রসব করেন ওই মহিলা। ভ্রূণহত্যা, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়।
আরও পড়ুন: Malda News: ডাক্তার দেখাতে এসে মৃত্যু, মালদা মেডিকেলে মারা গেলেন যুবতী