অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: ছ'তলা থেকে পড়ে(fall) মৃত্যু (death) হল যুবতীর (youth)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (malda medical college and hospital)। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাবেরা খাতুন। বাড়ি রতয়া থানার মাগুরা এলাকায়। কী ভাবে পড়ে গেলেন, জানারে চেষ্টা শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
কী হয়েছিল?
ঘটনাটির খবর ছড়াতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সাবেরা মানসিক দিক থেকে পুরোপুরি সুস্থ ছিলে না। তাঁর দাদা মুকলেশুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্যই বোনকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বর্হিবিভাগে নিয়ে এসেছিলেন। নিয়ম মেনে লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। হঠাতই দেখেন, সাবেরা লাইন থেকে উধাও। খোঁজ খোঁজ শুরু। তখনই নজরে আসে নিচে বহু মানুষের ভিড়। তখনই সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। উপর থেকে বোনের পোশাক থেকে বিপদের আভাস পান। নিচে নামতেই স্পষ্ট হয় ছবিটা। মুকলেশুর জানান, পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন সাবেরা। তাঁর ধারণা, সিঁড়ির পাশে একটি গেট খোলা রয়েছে। সেখানেই হয়তো বমি করতে গিয়ে নিচে পড়ে যান ৩১ বছরের যুবতী। এখানেই আক্ষেপ তাঁর। গেটটি বন্ধ থাকলে হয়তো বেঁচে যেতেন সাবেরা। আপাতত তদন্ত করছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতীতেও বিতর্ক...
মৃতার দাদা যা বলছেন তা কতটা সত্যি সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে আগেও যে বিতর্কের অভিযোগ উঠেছে, সেটা অতীতের কিছু তথ্য ঘাঁটলেই বোঝা যায়। এই প্রসঙ্গে বছরচারেক আগেকার একটি ঘটনা মনে পড়ে গিয়েছে অনেকের। সে বার হাসপাতালের সামনের রাস্তায় রোগীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রোগী রাস্তায় এলেন কী ভাবে? এই প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছিল হাসপাতাল, তদন্ত কমিটি গঠন করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পৃথক তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশও।
আরও পড়ুন:কলকাতা থেকে আগেও ৭৫ লক্ষ টাকা জোগাড় ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের, দাবি সিআইডি-র