হাঁসখালি : হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) গ্রেফতার (Arrest) আরও তিন জন। নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এই তিন জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
ধৃতরা মূল অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ধৃত তিনজনের মধ্যে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছিল ভাইরাল অডিওতে, এমনই খবর সিবিআই সূত্রে। শনিবার থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন ; হাঁসখালিকাণ্ডে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে ফের পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি বিজেপির
CBI সূত্রে খবর, ঘটনার পর পরই একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে মূল অভিযুক্তর পরিবর্তে অন্য এক যুবককে দায়ী করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শোনা যায় বেশ কয়েকজনকে। সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করতেই মূল অভিযুক্তের এই ৩ প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
CBI সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল ওই জন্মদিনের পার্টিতে প্রতিবেশী আরও এক যুবকের নিমন্ত্রণ ছিল। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান, ওই জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ থাকলেও যাননি। পর দিন বাজারে গিয়ে, প্রতিবেশীর কাছ থেকে মেয়েটির মৃত্যুর খবর পান তিনি।
প্রসঙ্গত, হাঁসখালিকাণ্ডে ১৬ এপ্রিল সেই প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করে CBI।
এদিকে হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘বাংলায় (West Bengal) জারি হোক রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents' Rule)’। হাঁসখালিকাণ্ডে বিজেপির এই রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা কার্যকর করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট
হাঁসখালিকাণ্ডে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কার্যপ্রণালীতে নির্যাতিতার পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, অভিযুক্ত শাসক দল তৃণমূল নেতার ছেলে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সবার আগে ধৃত অভিযুক্তদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অভিযুক্ত জেলের ভিতর থেকেও সাক্ষী এবং তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত করতে পারে।’ বিচারপ্রক্রিয়াও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে করা উচিত বলে প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।