কলকাতা: আসানসোল কম্বলকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেফতারি নিয়ে শাসকদলকে (TMC) তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোশ্যাল পোস্টে জিতেন্দ্রর ইস্যুর পাশাপাশি, পানিহাটির মেলায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকেও টানলেন। গায়ক কেকে-র (Singer KK) মৃত্যুর ইস্যু নিয়েও শাসকদলের দিকে তুললেন প্রশ্ন।
কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে ?
এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেফতার ইস্যুতে ফেসবুকে একটি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য গ্রেফতার করা হল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। অথচ গতবছর পানিহাটির দইচিঁড়ে মেলায়, পদপিষ্ট হয়ে ৩ জন মারা যায়। মারাত্মক অব্যবস্থাপনায় প্রাণ দিলেন বিখ্যাত গায়ক কেকে। কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে ? হয়নি। কারণ তাঁরা শাসকদলের লোক।'
আরও পড়ুন, কীভাবে খুন হয়েছিল ছেলে ? বলতে গিয়ে আদালতে অসুস্থ অভিজিৎ-র মা
দইচিঁড়ে মেলা-কাণ্ড
প্রসঙ্গত, রাজ্যে গতবছর ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনারগুলির মধ্যে অন্যতম পানিহাটির দইচিঁড়ে মেলায়, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু এবং কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে কেকে-র মৃত্যু। গতবছর জুন মাসে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির (panihati) দই-চিঁড়ের মেলায় ভিড়ের চাপে ও প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেসময়। এই পরিস্থিতিতে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুণ্যার্থীদের মেলার মাঠ থেকে বের করে আনা হয়েছিল। পরে তিনজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।
কেকে-র মৃত্যু
অপরদিকে, গতবছর ঠিক তার পরের মাসেই কলকাতায় গানের অনুষ্ঠান করতে এসে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। কেকে-কে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল নজরুল মঞ্চে। সেখানে গান গাইতে গাইতেই আচমকা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন কেকে। হোটেলেও ফিরে যান। কিন্তু সেখানেও অসুস্থতা কাটেনি। হোটেলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত (KK Death) বলে ঘোষণা করেন। আর এরপরেই ওঠে বিতর্কের ঝড়।
আসানসোলে কী হয়েছিল ?
এদিকে, বাইশের শেষে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয় আসানসোল। গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা যায়। সেই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।