অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : মঙ্গলবার কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে! আর দিনের বেলায় দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) মেরে কেটে ২২! ফলে ৩৭ ডিগ্রিতে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে যে মানুষ ২২ ডিগ্রির দিকেই ছুটবে, সেটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পাহাড়মুখী (Hill) দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকরা। ট্রেনে (Train) তিল ধারণের জায়গা নেই। মুহূর্তের মধ্যে টিকিট বুকিং শেষ হয়ে যাচ্ছে।


 উত্তরবঙ্গের ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা নেই


পূর্ব রেল সূত্রে খবর, দার্জিলিং (Darjeeling), সিকিম (Sikkim) যাওয়ার জন্য নিউ জলপাইগুড়িগামী (NJP) পূর্ব রেলের সব ট্রেনে যাত্রী-আসন ভর্তি। এমনকী, স্পেশাল ট্রেনেও (Special Train) ২ দিনের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আরও বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাতেও যাত্রী সংখ্যা ভর্তি।


খুলে গিয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরও


রানওয়ে সংস্কারের জন্য গত ১১ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport)। মঙ্গলবারই ফের বাগডোগরায় চালু হয়েছে বিমান পরিষেবা। সেই কারণে এই ক’দিনে ট্রেনের ওপর যাত্রীদের বাড়তি চাপ পড়েছে। রেল সূত্রে খবর, এপ্রিল থেকেই পাহাড়ে যাওয়ার ঢল নেমেছে পর্যটকদের। সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, এখন আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটক পাহাড়মুখী। 


তাপে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ


গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এপ্রিল মাসে কলকাতায় (Kolkata) আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা। আগামী সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ২ মাস কলকাতায় বৃষ্টি নেই। গরমে নাজেহাল শহরবাসী। আজও গোটা দক্ষিণবঙ্গে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। কলকাতায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি। ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে তাপমাত্রা।


বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের প্রভাব সবথেকে বেশি হবে। পশ্চিম ঘেঁষা বিপরীত ঘূর্ণাবর্তই কাল। মূল ভূখণ্ড দিয়ে যাওয়ার কারণে শুকোচ্ছে জলীয় বাষ্প। তাই বৃষ্টি নেই দক্ষিণবঙ্গে। জানাল আবহাওয়া দফতর। 


আরও পড়ুন- পুড়ছে যখন দক্ষিণ, উত্তরের কালিম্পংয়ে তখন শিলাবৃষ্টি, গাছ পড়ে বন্ধ রাস্তা