কলকাতা: এমন তুমুল একটানা বৃষ্টি সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি শহর কলকাতা ও শহরতলি। ৫ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কখনও এত পরিমাণ বৃষ্টি নথিবদ্ধ হয়নি। প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত রেল পরিষেবা। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় শুরুই হয়নি ট্রেন চলাচল। শিয়ালদা মেন, বনগাঁ শাখায় দেরিতে শুরু ট্রেন পরিষেবা। বাতিল করা হয়েছে কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন। শিয়ালদা-হাজারদুয়ারি ও শিয়ালদা-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস বাতিল। প্রায় ৩-৪ টি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। টিকিয়াপাড়া কারশেডে জল, হাওড়া ডিভিশনেও দেরিতে চলছে ট্রেন। 

Continues below advertisement

পথে বেরিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। শিয়ালদা মেন আর বনগাঁ শাখায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ কিছুক্ষণ দেরিতে শুরু হয় ট্রেন পরিষেবা। অন্যদিকে, ট্র্যাকে জল ঢুকে যাওয়ায় ব্যাহত মেট্রো পরিষেবাও। দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত আপ ও ডাউনে পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও, ময়দান স্টেশনের পর বাকি অংশে মেট্রো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। 

সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ার কামডহরিতে, ৩৩২ মিলিমিটার। এরপর যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার। ভোর চারটে থেকে গঙ্গার সব লকগেট খোলা হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টায় আবার লকগেট বন্ধ করা হবে। ফলে ওই সময় ফের ভারী বৃষ্টি হলে জলযন্ত্রণা আরও বাড়বে। 

Continues below advertisement

এখনও পর্যন্ত খবর, সারারাত বৃষ্টির ফলে পূর্ব রেলের হাওড়া ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কারশেডে জল জমে যাওয়ার কারণে  ট্রেন স্টেশনে ঢুকতে যথেষ্ট দেরি হচ্ছে। সিগন্যাল সিস্টেম কাজ না করায় এই বিভ্রাট। এর জেরে অফিস টাইমে যাত্রীদের সমস্যা হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

পুজোর ২ দিন আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা। রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে কলকাতা, সল্টলেক এবং লাগোয়া এলাকা বানভাসি চেহারা নিয়েছে। কোথাও কোমর সমান জল, কোথাও আবার হাঁটু পর্যন্ত। প্রচুর বাড়ির একতলায় জল ঢুকে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় পুজোর প্রস্তুতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোথাও ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মাণ স্টল। কোথাও আবার বিজ্ঞাপনের গেট।                            

এমন তুমুল একটানা বৃষ্টি সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি শহর কলকাতা ও শহরতলি। ৫ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কখনও এত পরিমাণ বৃষ্টি নথিবদ্ধ হয়নি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ার কামডহরিতে, ৩৩২ মিলিমিটার।