কলকাতা: বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (lalan shekh) রহস্যমৃত্যুতে (mysterious death) বিচারবিভাগীয় তদন্তের (judicial investigation) আবেদনের শুনানি শেষ। রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta high court)। তবে এনিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আগেই রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই (CBI)।


কী বললেন আইনজীবী?
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, যদি দেখা যায়, সিআইডির তরফে সিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য এমন কিছু করা হয়েছে তা হলে অবিলম্বে সিআইডির হাত-পা বেঁধে দিতে হবে। 
সিবিআইয়ের যে সব অফিসাররা তদন্ত করছেন এবং যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের তদন্তের বাইরে রাখতে হবে। অন্যান্য অফিসারদের দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। প্রয়োজনে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হবে। তাঁর কথায়, 'আপাতত আমাদের আবেদন একটাই। বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে তথ্য় উদঘাটন করা হোক।'


লালনের রহস্যমৃত্যু...
সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে হালেই উদ্ধার হয় বগটুুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, লালন আত্মঘাতী হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লালনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মৃত্য়ু? ওঠে প্রশ্ন! গত কাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নোটিস পাঠায় CID। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে CBI-এর তদন্তকারী অফিসারকে পাঠানো হয় নোটিস। জানতে চাওয়া হয়, হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে লালনের মৃত্যু হল। চাওয়া হয়েছে ঘটনার দিন রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। ওই দিন ক্যাম্পে কারা কারা ছিল, লালনের পাহারার দায়িত্বে কে ছিলেন, এ সংক্রান্ত সবকিছু জানতে চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয়বার বগটুই গ্রামে গিয়েছিল CID। গত কাল লালনের শ্বশুরবাড়িতে যায় CID-র ৫ সদস্যের টিম। মৃতের স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন লালনকে গ্রামে আনা হয়েছিল। সেদিন কী কী ঘটেছিল, তা জানতে চান CID-র তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে আবার রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প ঘিরে বিক্ষোভ দেখান লালন-ঘনিষ্ঠরা। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিক্ষোভ, জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। সিবিআইয়ের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। 'হেফাজতে লালনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর দিতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই এত স্মার্ট হলে কীভাবে ঘটল এ ধরনের ঘটনা?' প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন:'হকের চাকরি ছিনিয়ে নেব', হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের