বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর : কখনও তাঁর হদিশ নেই বলে পোস্টার পড়েছে। কখনও  অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে। কিন্তু উৎসবের মরসুমে, ভাইফোঁটার বিশেষ দিনে মানুষের পাশে খড়গপুরের বিধায়ক। 



হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও হিরণ নামেই বাংলাজুড়ে তাঁর পরিচিতি।  বিজেপির তারকা বিধায়ক ভাইফোঁটা পালন করলেন  তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষদের  সঙ্গে। খড়্গপুর সদরে তাঁর বাড়িতে ভাইফোঁটা পালন করলেন তিনি।  ভাইফোঁটার পর এলাকাবাসী-বোনেদের হাতে গণেশ ও লক্ষ্মী চিহ্নিত ছোট রুপোর কয়েন তুলে দেন বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়।

বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'স্থানীয় সব বন্ধুরা মিলে আজ আমায় উপহার দিয়েছে। আসলে ভাইফোঁটা একটা প্রতীকী ব্যাপার। তার প্রধান উদ্দেশ্য হল, ভাই-দাদা বা ভ্রাতৃসমদের মঙ্গলকামনা। তাদের জীবনে সব কালো মুছে ভাল আনার প্রার্থনা করে বোনেরা। আমারনিরাপত্তার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা নিজের জীবনের আনন্দ বাদ দিয়ে কর্তব্যে রত। তাই আজকের দিনটা উচিত তাঁদের পাশে থাকা। তাঁদেরও আনন্দ দেওয়া। আমি সেটাই করার চেষ্টা করছি।' 

আরও পড়ুন :


'দূরে থাকলেও ভালোবাসা একই থেকে যায়', ভাইফোঁটায় পুরনো ছবি পোস্ট প্রসেনজিতের




ভাইফোঁটা ভাই-বোনের বন্ধন উদযাপনের বার্ষিক পার্বণ। ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু প্রার্থনার দিন৷  কিন্তু ভাইফোঁটার দিন হিরণও তো নিজের দিদি-বোনের থেকে দূরে। তারকা বিধায়কের সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ওঁরা তো আমার সঙ্গে সারা জীবন আছেন। এখন বিধায়ক হিসেবে আমার উচিত মানুষের পাশে থাকা। যেখানকার মানুষ বিশ্বাস করে আমাকে বিধায়ক করেছেন সেখানে থাকা। তাই  এই মুহূর্তে আমার প্রধান কর্তব্য হল আমার সমাজ, আমার বিধানসভা। সেই কারণে আমি এখানে আছি।

আজ সারা বাংলাজুড়েই উৎসবের আবহ। গতকাল প্রতিপদে অনেকেই ফোঁটা দিয়েছেন। আজ দ্বিতীয়াতেও ফোঁটা দেওয়ার ব্যস্ততা তুঙ্গে। বাড়ি বাড়ি রকমারি খাবারের আয়োজন৷ পছন্দসই মিষ্টি ভাইয়ের পাতে তুলে দিতে সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানে লম্বা লাইন৷ ভাইয়েরাও নতুন পোশাক পরে বোনেদের জন্য উপহার নিয়ে ফোঁটা নিতে প্রস্তুত৷