সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: জনপ্রতিনিধি বলে কথা। সারা বছর দিল্লি-কলকাতা-হুগলি ছোটাছুটি। তার উপর রাজনৈতিক দায়িত্বও রয়েছে। দম ফেলারই সময় পান না। কিন্তু উৎসবের কথা আলাদা (Durga Puja 2022)। বছরের এই চারটি দিন সব চিন্তা ফেলে মাতৃবন্দনায় মগ্ন আরামবাগের তৃণমূল (TMC) সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)। পুজোর ক’দিন নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বার বালতি হাতে খাবার পরিবেশনর দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। 


নবমীতেও অন্য ভূমিকায় তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার


মঙ্গলবার, নবমীর দিন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনে দেখা গেল অপরূপাকে। তাও আবার সম্পূর্ণ অন্য রূপে। সারি দিয়ে বসে থাকা দর্শনার্থীদের মাঝে বালতি-হাতা নিয়ে নেমে পড়লেন তিনি। আঁচল গুটিয়ে একের পর এক প্লেটে ঢেলে দিলেন ভোগ। ওইটুকু সময়ে সকলের সঙ্গে হাসিমুখে বার্তালাপও সারতে দেখা গেল তাঁকে। 


বাঙালির প্রাণের উৎসবে মঙ্গলবার বিষাদের সুর। কাতর প্রার্থনা। সকলের একটাই প্রার্থনা, যেন না পোহায় যেন নবমী নিশি৷ আজও সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেছেন মানুষ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে চলেছে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা। এরই মাঝে প্রতিবারের মতো মাকে আরও কিছুদিন রেখে দেওয়ার বাসনা নিয়েই বিসর্জনের প্রহর গোনা শুরু।  রাজনীতিকরাও সেই দলেই শামিল হয়েছেন। পুজো শেষ হওয়ার আগে উৎসবের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Kumari Pujo: মহানবমীতে সাড়ম্বরে কুমারী পুজো সার্বণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়িতে


তবে এ দিনই প্রথম নয়, এ বছর পুজোয় গোড়া থেকেই নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অপরূপাকে। ষষ্ঠীর দিন আরামবাগের পুজোয় স্থানীয়দের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়, লোকাল ট্রেনে উঠে হরিপাল, নালিকুলে মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তাও পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এমন উদ্যোগকে প্রচার কৌশল হিসেবে বিরোধীরা দাগিয়ে দিলেও, উৎসবের আবহে কোনও কথাই কানে তুলতে চাননি অপরূপা।


রাজনীতি পেশা হলেও, পুজো নিয়ে অন্য আবেগ


তবে শুধু অপরূপাই নন, তৃণমূলের প্রায় সব নেতা-মন্ত্রীই এই মুহূর্তে পুজো নিয়ে ব্যস্ত। দুর্গাপুজোয় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুজো থেকে চণ্ডীপাঠও করেন তিনি। সোমবার অষ্টমীতেও সেই রূপেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। নবমীর সকালেও শ্রীরামপুরে পাড়ার মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। করলেন মায়ের পুজোও।