সোমনাথ দাশ, হুগলি : মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার ( Kolkata )  দিক থেকে বর্ধমান ( Burdwan ) যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন চালক সহ এক দম্পতি।

কীভাবে ঘটে দুর্ঘটনা 


গুরাপ থানার মাঝিনান এলাকায় প্রাইভেট গাড়িটি একটি লরির পিছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে।  তারপরেই  পিছন থেকে আরেকটি লরি সেই প্রাইভেট গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় প্রাইভেট গাড়িটি। ঘটনার পরেই ছুটে আছে গুড়াপ থানার পুলিশ।  


হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ  সুপার আমন দীপ  জানিয়েছেন, গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়িটির একাধিক অংশ কেটে গাড়ি থেকে তিনজনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসরা। 


মৃতরা হলেন রণজিৎ মণ্ডল। তাঁর বয়স ৬৪। তাঁর স্ত্রী বিজলি মণ্ডলের বয়স ৫৯। তাঁদের বাড়ি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লী এলাকায়। মৃত্যু হয়েছে গাড়ির চালক বেচু ঘোষেরও। তাঁর বয়স ৩৪, বাড়ি বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুন্ঠপুরের ঘোষপাড়ায়। 


পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, দমদম বিমানবন্দর থেকে একটি  গাড়ি করে তাঁরা বর্ধমানের আনন্দপল্লীর বাড়িতে ফিরছিলেন। জাতীয় সড়কের গুরাপে একটি ট্রাকের পিছনে তাদের গাড়িটি ধাক্কা মারে। এরপরেই পিছনে থেকে একটি ডাম্পার তাদের গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারে।


দুটি ট্রাকের মাঝে কার্যত চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যায় চার চাকা গাড়িটি। দীর্ঘ চেষ্টার পর তাদের তিনকেই উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। 

কলকাতায় দুর্ঘটনা সোমে 


সোমবার নিউটাউনে মেয়ের বিয়ে দিয়ে ফেরার পথে, ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাবা, ভাই ও ঠাকুমার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কনেযাত্রীদের গাড়ি চালককে । জানা যায়, মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পরিবারের ৩ জনের। বাস চুরি করে পালানোর সময় বেপরোয়া গতিতে গাড়িতে ধাক্কা মারে চালক। ধৃত বাস চালককে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মৃতদের নাম, শিবশঙ্কর রাঠী (৫৪), তাঁর মা কমলা রাঠী(৭৩), ও ছেলে শ্রীবাস রাঠি (২৩)। মানিকতলার এই আবাসনে থাকতেন রাঠী পরিবারের সদস্যরা। দুর্ঘটনার খবর সেখানে পৌঁছনোর পর থেকে, থমথম করছে আবাসন।              

আরও পড়ুন :


কেউ টাকা চাইলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন, বললেন মমতা