সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: চন্ডীতলার ভগবতীপুরে ঘুষি মেরে প্রৌঢ় খুনের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করল চন্ডীতলা থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সুকুর আলি মন্ডল ও সেখ কাশেম।


ঠিক কী ঘটেছে? 


গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ভগবতীপুর জলমাদুল দিঘির পার এলাকায় চায়ের দোকানে সুকুর আলি ও রিয়াজুল হকের মধ্যে বচসা হয়। গ্রামের রাস্তা তৈরী নিম্নমানের হয়েছে এমন অভিযোগ করে রিয়াজুল। তা নিয়ে বচসার সময় সুকুর আলি ও সেখ কাশেম তাঁকে মারধর করে, এমনটাই অভিযোগ। 


এরপর সুকুর সজোরে ঘুষি মারে রিয়াজুল হককে। ঘুষি খেয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় টোটোয় চাপিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেয় কয়েকজন। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। ঘটনার পর উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়,ভাঙচুর করা হয় কাশেমের চায়ের দোকান। 


আরও পড়ুন, ২০ টাকার টিকিটে মহিলাদের 'নিম্নমানের' ফুটবল খেলা, রণক্ষেত্র জলপাইগুড়ি


এরপর চন্ডীতলা থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।ঘটনার পর মৃতের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সুকুর আলি ও সেখ কাশেম পলাতক ছিলেন। তাঁদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সোমবার রাতে নবাবপুর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।


অন্যদিকে, ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়িতে। অসুস্থ বৃদ্ধ দম্পতির গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে, মারধর করে  নগদ ও গয়না মিলিয়ে প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা লুঠ  করে পালিয়ে গেলো ডাকাত দল।জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেব নগর এলাকায় মঙ্গলবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। 


আরও পড়ুন, প্যাথলজি সেন্টারের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা, মহিলাদের ছবি তুলে গ্রেফতার সিকিউরিটি গার্ড


বাড়িতে একাই থাকতেন নিঃসন্তান দম্পতি দিলীপ বসু ও রত্না বসু। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী দিলীপ বাবু। সুস্থ হয়ে ওঠার পর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বাড়িতে চার লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে রাখেন তিনি।এদিন ভোর রাতে দিলীপ বাবুর বাড়িতে হানা দেয় চার জনের একটি ডাকাত দল। গ্রিলের দরজা ভেঙে একে একে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা।বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে লুটপাট চালায়।নগদ এবং সোনা মিলিয়ে সাত লক্ষাধিক টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।