ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: বাথরুমে লুকিয়ে রাখা মোবাইল ক্যামেরায় মহিলাদের ছবি তোলার অভিযোগে গ্রেফতার প্যাথলজি সেন্টার এর এক সিকিউরিটি গার্ড। মঙ্গলবার সকালে বেলুড় স্টেশন রোডের একটি প্যাথলজি সেন্টার এ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে আসেন এক গর্ভবতী মহিলা।
জানা গিয়েছে, তিনি তার প্রয়োজনে বাথরুমে গেলে হঠাৎই চোখে পড়ে বাথরুমে রাখা ঝাঁটা এবং অন্যান্য আবর্জনার মধ্যে একটি মোবাইল ফোন উল্টোদিক করে রাখা আছে। বিষয়টি বুঝতে না পেরে তিনি তাঁর স্বামীকে ডাকেন। তখনই দেখা যায় মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং অন করে কেউ ওখানে রেখে গেছে। এরপরই এই বিষয়টি নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয় ওই প্যাথোলজি সেন্টারে।
তখনই ধরা হয় ওই সেন্টারের এক সিকিউরিটি গার্ডকে। সে স্বীকার করে ফোনটি তারই। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গার্ডকে উপস্থিত মহিলা এবং তাদের আত্মীয়রা মারধর শুরু করে। খবর যায় বালি থানায়। পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে ওই মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের !
অন্যদিকে, শহরের আরেক প্রান্ত বেহালার পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মহিলার স্বামীকে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তাক্ত মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিত্ ঘরে ছিলেন। মহিলার স্বামী, বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী তপন মণ্ডল ছিলেন অফিসে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
এছাড়াও এই খুনের ঘটনার আরও সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, খুনের পর আততায়ী ঐ বাড়িতেই বাথরুমে স্নান করে।তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য স্নান করে আততায়ী। জলের পাইপের থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল। মৃতার স্বামীর আংটিতে রক্তের দাগ মিলেছে বলে সূত্রের খবর।