মোহন দাস, আরামবাগ : মত্ত অবস্থায় স্কুলে এসেছিলেন প্রধান শিক্ষক। এই অভিযোগ তুলে হুগলির (Hooghly) আরামবাগে (Arambag) গতকাল একটি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিভাবকরা। আজও দীর্ঘক্ষণ তালাবন্ধ থাকে স্কুল। স্কুলে ঢুকতে না পেরে, বাইরে খেলে বেড়ায় কচি কাঁচাদের দল। স্কুলের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন শিক্ষকরা। ভিতরে ঢুকবেনই বা কী করে ? স্কুলের গেটে রইল তালা দেওয়া।
মত্ত প্রধান শিক্ষক, তালা স্কুলে
প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবারই হুগলির আরামবাগের ডিহালপাড়া প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার সিংহকে। শুক্রবার সকালও স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখেন অভিভাবকরা।
গেটে তালা দেওয়া থাকায় স্কুলের বাইরেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন অন্য়ান্য় শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এক অভিভাবকের সাফ কথা, হেড স্য়র আসলে ছেলেরা আসবে না। ছেলেরা আসসলে হেড স্য়র আসবে না। যদিও বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর শুক্রবার স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি করেছিলেন, পান মশলা খাচ্ছিলাম, আজ সকালের দিকে খেয়েছিলাম, সেটার একটু গন্ধ থাকতে পারে। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় আসেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক।
ছুটে আসেন প্রধান, খোলে তালা
খবর পেয়ে দুপুরে ছুটে আসেন স্থানীয় মলয়পুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তাঁর আশ্বাসে স্কুলের তালা খোলা হয়। মলয়পুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ রফিক বলেছেন, আমি কথা দিয়ে গেলাম আপনাদের কাছে, এই স্কুলের হেড মাস্টার আসবে না। ৪ বছর ধরে রয়েছি। আমাকে ১ বার অভিযোগ করা হয়েছিল। আমাকে বলেছে প্রধান সাহেব একবার আসুন, দেখব। একদম মদ্য়প অবস্থায়। থ্রেট করা হয়। এসআইকে বলা হয়। কর্মাধ্যক্ষকে বলা হয়। বলেথছিলাম বেঁধে প্রশাসনকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর সুযোগ দেওয়া যাবে না। শোকজ-সাসপেন্স করা হোক।-
আরও পড়ুন- উল্টে পড়ে যাওয়ার দশা, মদ খেয়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষক! হুলস্থূল আরামবাগে