সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হুগলি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাড়া ফেলেছিল 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তারই আদলে 'দিদির সুরক্ষাকবচ' এবং 'দিদির দূত' কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তৃণমূল। তার আগে তৃণমূলের কর্মসূচি ভণ্ডুল করার প্রচেষ্টা চোখে পড়ল। বিজেপি-র নাম করে 'দিদির দূত' কর্মসূচিকে ব্যঙ্ক করে 'দিদির ভূত' পোস্টার চোখে পড়ল হুগলিতে।
বুধবার থেকে হুগলিতে 'দিদির সুরক্ষাকবচ' এবং 'দিদির দূত' কর্মসূচি নিয়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। আর সেই দিনই চুঁচুড়ায় 'দিদির ভূত' লেখা পোস্টার চোখে পড়ল। বিজেপি-র নাম করে ওই পোস্টার ঝোলানো হয়েছে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেই ওই পোস্টার, তা স্বীকার করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। ভয় পেয়েই বিজেপি এমন কাজ করেছে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে জোড়াফুল শিবির।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে শান দিতে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি 'দিদির সুরক্ষাকবচ'। সরকারি প্রকল্পের প্রচারে, বাংলার ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন 'দিদির দূতে'রা। বুধবার হুগলির চূঁচুড়ায় এই কর্মসূচির প্রচার শুরু করেছেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার।
তার আগে, চুঁচুড়া বিধানসভার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেখা গেল, 'দিদির দূ'ত কর্মসূচিকে ব্য়ঙ্গ করে পোস্টার। কোনওটায় লেখা, 'ভূত হইতে সাবধান', কোনওটায় আবার, 'দিদির ভূতেরা আসবে, বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন'। প্রতিটা পোস্টারের নীচে রয়েছে বিজেপি-র নাম।
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে নিশানা করেই এই পোস্টার ঝোলানো হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ জন। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে অসিত বলেন, "বিজেপি ভয় পেয়েছে। এটা তার প্রমাণ। ওদের কোনও কাজ নেই। মানুষকে পরিষেবা দেয় না। দিদির উন্নয়ন মানুষের দরজায় গেলে ওরা ভয় পায়। এ সব নিয়ে ভাবি না।"
পোস্টারে বিজেপি-র নাম থাকা নিয়ে যদিও কোনও রাখঢাক করেননি হুগলি জেলায় বিজেপি-র সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, "যে দিন তৃণমূল এই কর্মসূচি নিয়েছে, সেই দিনই বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ওটা ভূতের কর্মসূচি। ভুতুড়ে ভোটার। ভূতের নামে আবাস বাে বাড়ি। আজ কিছু ভূত ঘুরবে। তাই মানুষকে পোস্টার দিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।"
গত ২ জানুয়ারি নতুন কর্মসূচি 'দিদির সুরক্ষাকবচ' এবং 'দিদির দূত' অ্যাপের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। সেই দিনই এই কর্মসূচিকে ভূতের দূত বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরই এমন পোস্টার।