সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: সঙ্কট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আগেই। তাতে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিমারি (Pandemic)। তাতে নতুন কর্মসংস্থান হওয়া তো দূর, বরং চাকরি চলে যাচ্ছে বহু মানুষের (Employment opportunities)। এমন পরিস্থিতিতে একটি নয়, দু'টি নয়, সবমিলিয়ে ১৭টি সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরি বাগিয়ে নজির গড়লেন হুগলির তরুণ (hooghly News)। উপযুক্ত প্রশিক্ষণই তাঁর চাকরি পাওয়ার পথে সহায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। 


দুই মাসে ১৭টি সংস্থায় চাকরির সুযোগ!


বালির ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ চৌধুরী। হুগলির চুঁচুড়ার বেসরকারি কলেজের ছাত্র তিনি। অতিমারিতে কলেজ বন্ধ থাকায়, অনলাইন ক্যাম্পাসিং চলছে। তার মাধ্যমেই সরাসরি পরীক্ষাগ্রহণ করে তার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছে। তাতেই বাজিমাত করেছেন অরিজিৎ। গত দু'মাসে তিনি মোট ১৭টি বহুজাতিক সংস্থার কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অরিজিৎ। 


যে  যে সংস্থা থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন অরিজিৎ, তার মধ্যে উইপ্রো, টিসিএস, ইনফোসিস, অ্যাকসেনচার, বাইজু'স-এর মতো সংস্থা রয়েছে। তবে তিনি একা নন, চুঁচুড়ার ওই বেসরকারি কলেজের আরও বেশ কয়েক জন ছাত্র ওই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অরিজিৎ। 


আরও পড়ুন: Jhargram News : সর্ষের মধ্যেই ভূত! মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার কাণ্ডে ফের হোমগার্ড গ্রেফতার!


সম্প্রতি যাদবপুরের কম্পিউটার সায়েন্সে বিভাগের ছাত্র বিশাখ মণ্ডলের প্রায় দু'কোটি টাকা বার্ষিক বেতনের চাকরি পাওয়ার খবর সামনে আসে। তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। তার পর এ বার অরিজিতের ঝুলি উপচে পড়ার কাহিনী সাড়া ফেলতে শুরু করেছে। 


তবে অরিজিৎ জানিয়েছেন, কম্পিউটার সায়েন্সের মূল বিষয় হল প্রোগ্রামিং। সেটা খুব ভাল করে শেখার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তাতেই চাকরি পেতে সুবিধা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস বহুজাতিক সংস্থাগুলির পরীক্ষা ক্র্যাক করতে সাহায্য করেছে তাঁকে। 


হুগলির ওই বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ স্মিতধী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "করোনায় অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে ঠিক। তবে আমাদের কলেজের পড়ুয়াদের কাছে ভাল চাকরির সুযোগ এসেছে। কলেজ বন্ধ থাকলেও, অনলাইনে পড়াশোনা চালু ছিল। প্র্যাকটিক্যালও ঠিকঠাক হয়েছে। সেই প্রশিক্ষণই চাকরি পাওয়ায় কাজে লেগেছে।"


ধ্যান-ধারণা পাল্টে দিলেন হুগলির অরিজিৎ!


করোনার প্রকোপে বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার ভারতের ক্রমাঙ্ক নীচে গিয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশেও চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করে সেই ঘাটতি পোষাতে তাবড় সংস্থা উদ্যোগী হয়েছে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আগামী দিনে প্রযুক্তি বিভাগে প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলে মত তাঁদের।