বাপন সাঁতরা, আরামবাগ: ৫ দিন কেটে গেলেও, এখনও জলমগ্ন হুগলির খানাকুল। এখনও জলের তলায় একাধিক এলাকার ঘর বাড়ি। একতলা সমান ঘর জলে ডুবে গিয়েছে। সেই জল ঠেলেই চলছে যাতায়াত। এরমইমধ্যে দেখা দিয়েছে জলের সঙ্কট। ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। 


হুগলিতে বিপর্যস্ত জনজীবন: মারোখানা, পানশিউলি, জগৎপুর, গড়েরঘাট, বন্দর, ধান্যঘোড়ি, ঘোড়াদহ, পোল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলের তলায়। বাড়ির একতলায় জল, রাস্তায় বুক সমান জল ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। উঁচু রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যেই খানাকুলে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। ৫ দিন ধরে বন্যার কবলে, খাবার ও পানীয় জলের সঙ্কট চরমে। প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছে না বলে অভিযোগ।


এদিকে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। আজ আজবনগর ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যাচ্ছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। ঘাটাল মহকুমার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পাঁশকুড়ায় যাবেন দেব। সেখানেও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন তৃণমূল সাংসদ।  এখনও জলমগ্ন ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ঘাটাল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। রাস্তা এখনও নদী। নৌকায় চড়ে চলছে যাতায়াত। ঘাটাল পুরসভার পাশাপাশি, পঞ্চায়েত এলাকারও অবস্থাও ভয়াবহ। রথীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর এলাকায় সামন্ত পরিবারের বাস। একতলা থেকে জল বার করার কাজ চলছে। সেই কাজে ব্যস্ত গোটা পরিবার। ছাদে রান্না চলছে, বাড়িতে বাচ্চা আছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা চরমে উঠেছে। সরকারি ত্রাণ তো জোটেইনি, কোনও রাজনৈতিক দলই পাশে দাঁড়ায়নি, অভিযোগ সামন্ত পরিবারের সদস্যদের। 


এই বন্যা পরিস্থিতিতে ফের ধানমন্ত্রীকে ফের ৪ পাতার চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে ফের চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের সম্মতি না নিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর দাবিকে নস্যাৎ করে মোদিকে চিঠি মমতার।                                     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: West Bengal Flood: জল-যন্ত্রণার মাঝেই ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ, দুর্নীতির অভিযোগে সরব গ্রামবাসী