হুগলি: ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি হুগলির খানাকুলে। নতুন করে জল ঢুকেছে একাধিক গ্রামে। ইতিমধ্যেই খানাকুলের ২০টির বেশি পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত। জলের তলায় একাধিক রাস্তা।
ইতিমধ্যেই ভাসছে মারোখানা, পান শিউলি, জগৎপুর, রাজহাটি ১ ও ২, পলাশপাই ১ ও ২, ধান্যঘোড়ি, শাবলসিংহপুর-সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা। জল ঢুকেছে একাধিক স্কুলে। পঞ্চায়েত অফিসও জলমগ্ন। খানাকুল হাসপাতালেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। গ্রামের রাস্তা থেকে শুরু করে রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে জল বইছে। ফলে অনেক জায়গাতেই সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। অনেক জায়গায় মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১১২টি গ্রাম ভাসছে জলে। নতুন করে একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল ঢুকেছে আমতা ২ নম্বর ভাটোরা দ্বীপে। প্লাবিত ঝিকিরা ও অমরাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। জলের জেরে আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন। গৃহহীনদের ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আরও পড়ুন, মৌসুনি দ্বীপে ট্যুরিস্ট কটেজে ভয়ঙ্কর আগুন, ভস্মীভূত রিসর্টের একাংশ!
এদিকে, ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ। গতকাল রাত ১২টা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭০০ কিউসেক জল ছাড়া শুরু হয়। আজ ভোর ৫টা থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৭৫ কিউসেক। গত দু’দিন বৃষ্টি হয়নি। এর ফলে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে DVC. গতকাল রাত ১২টা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। বৃষ্টি না হলে, জল ছাড়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে বলে DVC জানিয়েছে।
সেক্ষেত্রে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানান হয়েছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'সাড়ে ৩ লক্ষ কিউসেকের ওপর জল ছেড়েছে। মানে ম্যান মেড ফ্লাড। পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডুবিয়েছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে