সোমনাথ মিত্র, হুগলি: দক্ষিণবঙ্গে অব্যাহত জল-যন্ত্রণা দিকে দিকে শুধুই জল আর মানুষের দুর্ভোগের ছবি। বাড়িতে ঢুকেছে জল। চাষের জমেও চলে গিয়েছে জলের তলায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, আগামী দিনে কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। 


জলের তলায় চাষের জমি: জল-যন্ত্রণায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগের ছবি হুগলির তারকেশ্বর এবং জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা এলাকায়। অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে হুগলি জেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর ধান জমি ও ২ হাজার ২৫ হেক্টর সবজি চাষের জমি জলমগ্ন হয়েছে। জমি থেকে জল নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি দফতর। পুজোর আগে চাষবাসে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে কার্যত মাথায় হাত চাষীদের। কৃষকরা বলছেন, সরকারি সাহায্য না পেলে পুনরায় ঘুড়ে দাঁড়ানো অসম্ভব। প্লাবিত এলাকার জলস্তর সামান্য কমলেও এখনও আতঙ্ক কাটেনি মানুষের।


DVC-র ছাড়া জলে প্লাবিত হুগলির খানাকুল। নতুন করে জল ঢুকেছে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যেই খানাকুলের ২০টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত। ভাসছে মারোখানা, পান শিউলি, জগৎপুর, রাজহাটি ১ ও ২, পলাশপাই ১ ও ২, ধান্যঘোড়ি, শাবলসিংহপুর-সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা। জল ঢুকেছে একাধিক স্কুলে। পঞ্চায়েত অফিসও জলমগ্ন। খানাকুল হাসপাতালেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। গ্রামের রাস্তা থেকে শুরু করে রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে জল বইছে। ফলে অনেক জায়গাতেই সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। অনেক জায়গায় মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন।                      


শুধু হুগলি নয়, আতঙ্কে দিন কাটছে হাওড়াবাসীরও। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বন্যা পরিস্থিতি। ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কমপক্ষে ১১২টি গ্রাম প্লাবিত। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল ঢুকেছে আমতা ২ নম্বর ভাটোরা দ্বীপে। প্লাবিত ঝিকিরা ও অমরাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। উদয়নারায়ণপুরে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসা হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। উদ্ধারকাজে নেমেছে NDRF.


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Coochbehar News: চিন্তার দিন শেষ, পুজোর আগেই নতুন রুটে শুরু হচ্ছে বাস পরিষেবা