পূর্ণেন্দু সিংহ, ওন্দা: কথায় আছে নদীর ধারে বাস, চিন্তা ১২ মাস। এখন এই প্রবাদই সত্যি হয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দার বীরসিংহপুর (Birsinghpur) গ্রামের দ্বারকেশ্বর নদের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জীবনে। আতঙ্কে ঘুম উড়ে গেছে চোখ থেকে। দ্বারকেশ্বর নদের ভয়ঙ্কর ভাঙনের (Dwarkeswar River Erosion) ফলে ইতিমধ্যেই তীরবর্তী বীরসিংহপুর গ্রামের ১০টি পরিবারকে নদের পাড় থেকে সরিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিনের টানা বর্ষণের জেরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে দ্বারকেশ্বর নদ। আর এই নদ ফুলে-ফেঁপে উঠে নদের পাড় ক্ষয়ে ক্ষয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে বীরসিংহপুর গ্রামের দিকে। দুদিন ধরে প্রবল জলস্রোতের ভয়ঙ্কর গ্রাসে চাষের জমি ও নদের পাড়ের গাছ, সব কিছুই দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদের ভাঙনের আতঙ্কে দ্বারকেশ্বরের পাশে বীরসিংহপুর গ্রামে বসবাসকারী পরিবারগুলির রাতের ঘুম ছুটেছে।
ইতিমধ্যেই নদের পাড়ের ১০টি পরিবারকে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই আপাতত প্রশাসনিক উদ্যোগে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ এখন রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। মাঝে মধ্যেই ভাঙনের ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে উঠছে গোটা এলাকা। দ্রুত ভাঙন রোধ না করলে বিলীন হয়ে যাবে গ্রাম। এখন এটা আশঙ্কা বীরসিংহপুর গ্রামের মানুষদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের দিকেই তাকিয়ে গ্রামের মানুষজন। ইতিমধ্যেই নদের পাড়ের বসবাসকারী পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি ভাঙন কীভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডিভিসির জলে ইতিমধ্যে ভয়ানক পরিস্থিতি হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ব্লকে। সেখানকার ১১২টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পরে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কী হবে তার চিন্তায় আকুল সেখানকার বাসিন্দারা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adikari: স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু, কী কী অভিযোগ বিরোধী দলনেতার