হুগলি: তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের ( Asit Majumdar) বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার হুগলির চুঁচুড়ায় (Hooghly)। ত্রিকোণ পার্ক (Traingular Park) এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা (BJP Worker)। সেসময় তাঁদের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা (TMC Worker)। পরে পুলিশ (Police) গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সম্প্রতি একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্য়াটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলরদলের গ্রুপে বিধায়কের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ করেন। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
প্রসঙ্গত, গতবছর পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর হয়ে উঠেছিল ভাটপাড়া পুরসভা (Bhatpara Corporation)। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর খোঁড়ার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন খোদ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor)। তবে ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন জমির মালিক ও তৃণমূল কর্মী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই কাউন্সিলর। দিনে দুপুরে এভাবেই পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভায়। অভিযোগ পেয়ে অবশেষে সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুর কর্তৃপক্ষ। প্রায় বুজিয়ে ফেলা পুকুর থেকে তোলা হয় মাটি। কিন্তু এই পুকুর বোজানো নিয়েই উঠেছিল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে আঙুল তোলেন খোদ পুকুর মালিক ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। এ ছবি ভাটপাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মুলাজোড় এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রায় ২ বিঘা জুড়ে এই পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল। কিন্তু কেন বেআইনিভাবে পুকুর বোজানোর চেষ্টা হচ্ছিল, এ প্রশ্নের জবাবে বিস্ফোরক পুকুরের মালিক, এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত রাজ বিশ্বাস। তিনি বলছেন,'কাউন্সিলর পয়সা নিয়েছে। আমরা দিয়েছি। ১৫-২০ দিন ধরে কাজ হচ্ছে আগে বলেনি কেন। কাউন্সিলর আরও টাকা চেয়েছে দিইনি তাই খোঁড়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন, 'রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র', ফের মমতার নিশানায় মোদি সরকার
টাকা নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারি বলেন, 'মেনেছি ও কর্মী আছে। বেআইনি কিছু তো করতে পারে না। নেত্রীর নির্দেশ আছে এমপি এমএলএ যেই হোক বেআইনি কাজ করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।'এই চাপানউতোরের মধ্যে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের হস্তক্ষেপে ফের এই পুকুর খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, '৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর খুঁচিয়ে দিয়ে এসেছিলাম।ভেবেছে কেউ গ্রেফতার হয়নি।তাই এই দুঃসাহস।' অপরদিকে, পুকুর বোজানো নিয়ে ‘কাটমানি’-বিদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর, এই নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রশাসনিক দলতন্ত্র কায়েম হয়েছে। তীব্র নিন্দা করছি, জানি না আগামীদিনে আরও বেশি টাকা দিয়ে বোজানো হবে কি না।'