কলকাতা: বছর ঘুরলেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। এদিকে বাংলায় তার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আর তার ঠিক আগেই নানা ইস্যুতে বারবার অশান্তি ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে রাজ্যে। হাওড়ার পর রামনবমীর (Rama Navami) মিছিল ঘিরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে গতকাল হুগলির রিষড়ায়। হুগলির রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। কেন বারবার অশান্তি ? ভোটের উপর প্রভাব পড়বে কি? বিশ্লেষণ করলেন এবার দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,  'নরেন্দ্র মোদির শাসনের জন্য দেশ এগোচ্ছে। তাঁকে বদনাম করার জন্য, আগামী চব্বিশের নির্বাচনে, যাতে মোদিজিকে কমজোর করা যায়,  সারা ভারত জুড়েই বিরোধীরা পরিকল্পনা করে গন্ডোগোল করাচ্ছেন। যাতে বিশ্বের সামনে তাঁর ইমেজ খারাপ হয়।  যেহেতু নোবেল শান্তি প্রাইজ দেওয়ার জন্য তার নামও আসছে। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তা না হলে, এমন শান্তিপূর্ণ এলাকায় অশান্ত পরিবেশ হতে পারে না।'


প্রসঙ্গত, একুশ থেকে তেইশ সালের মাঝে সারা দেশ জুড়েই একের পর এক ইস্যুতে অশান্তি হয়েছে। নুপুর শর্মা ইস্যুতেও উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। অশান্তি ছড়িয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাংলাতেও প্রভাব ফেলেছিল। তেমনই সদ্য তেইশে ঘটা তিলজলার শিশু মৃত্যু ঘটনার পরও উত্তাল হয় এশহর। তারপর এবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার পর হুগলি।  ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন, কিছুই গেল না বাদ । আবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও।


গতকাল হুগলির রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় অশান্তি বাধে। পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বা থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা দিলীপ ঘোষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। চলছে রুট মার্চ। রিষড়ায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।


আরও পড়ুন, 'বাম আমলে মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়নি, তৃণমূল জমানায়..' ? বিস্ফোরক শুভেন্দু


এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ' কে কী করছে, আমি জানি না। ঘটনা যেটা, আমি যেটা দেখেছি, আমি নিজেই ভুক্তভুগী। তার আগের দিন আমি ছিলাম, টাকি শহরে। সেখানে শোভায়াত্রা ছিল, সেখানে গন্ডোগোল হয়নি।  কালকে যখন আমি গিয়েছি, রিষড়াতে, শোভাযাত্রা সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে প্রায়।  তার আগেই গন্ডোগোল শুরু হয়। আগামী ৬ তারিখ অবধি সারা বাংলায় বিভিন্ন জায়গায় মিছিল আছে। আর এটা প্রতিবছর হয়। তৃণমূল ঠিক করবে না, যে হিন্দু সমাজ কবে মিছিল করবে, কবে উৎসব করবে। তার কবে ছুটি দেবেন, কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করবেন সেটা ঠিক করুন,  বাকিটা হিন্দু সমাজের উপর ছেঁড়ে দিন', বলে স্পষ্ট করে দেন দিলীপ ঘোষ।