সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: একবার ব্যবহাযোগ্য প্লাস্টিক থলির (Palastic Ban) ব্যবহার নিষিচ্ছ হয়েছে। জন সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে সমান তালে। সেই পরিস্থিতিতে এ বার শ্রীরামপুরে একটি প্লাস্টিক থলের কারখানা বন্ধ করল স্থানীয় পুরসভা। ওই কারখানার বৈধ কাগজপত্রও ছিল না বলে অভিযোগ।
শ্রীরামপুরে বন্ধ করে দেওয়া হল প্লাস্টিক কারখানা
গত ১ জুলাই থেকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক থলির ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্য়বহার বন্ধ করতে লাগাতার প্রচারও চলছে। সেই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার এলাকার একটি প্লাস্টিকের থলি তৈরির কারখানায় হানা দেয় হুগলি জেলার (Hooghly News) শ্রীরামপুর (Serampore) পৌরসভা। মূলত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি হতো ওই কারখানায়।
এ দিন শ্রীরামপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই কারখানায় হানা দেন পৌরসভার আধিকারিকরা। শ্রীরামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা বলেন, "শ্রীরামপুর শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে গত এক মাস ধরে লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে। আজ খবর পাই, চাতরার একটি কারখানায় প্লাস্টিকের থলি তৈরি হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অনেক প্লাস্টিক মজুত করা রয়েছে। কারখানার কোনও বৈধ কাগজপত্রও নেই। ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও, তার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই এখন কারখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।"
তবে পৌরসভার অভিযোগ খারিজ করেছেন কারখানার মালিক অঞ্জন দে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের কারখানায় ৭৫ মাইক্রনের বেশি পুরু থলি তৈরি হয়। পৌরসভার তরফে যদিও এ দিন কারখানা বন্ধের পর প্লাস্টিকের সামগ্রী বিক্রি হয়, এমন দোকানেও হানা দেওয়া হয়। শহরবাসীকে বিলি করা হয় চটের থলেও।
৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে রাজ্যে (Plastic Usage)। মঙ্গলবার সেকথা জানালেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। চলতি বছরের জুলাই থেকেই চালু হচ্ছে এই নিয়ম। রাজ্যের মোট ১ হাজার ২৬টি প্লাস্টিক উৎপাদনকারী সংস্থাকে ইতিমধ্যেই এই বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ফিরহাদ।
প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কড়া রাজ্য প্রশাসন
প্লাস্টিকের প্যাকেট বা ক্যারিব্যাগে কত মাইক্রন পুরু হতে হবে, তার মাপ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ১ জুলাই থেকে ৭৫ মাইক্রনের নিচে সমস্ত প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, র্যাপার, ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। ৫০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট, প্যাকেট ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টিকের ব্যবহার চোখে পড়ছে।